বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৭৪টি স্বল্পআয়ের দেশের জন্য ৯ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সহায়তা বরাদ্দ করেছে বিশ্বব্যাংক। এটি সংস্থাটির আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অ্যাসোসিয়েশনের (আইডিএ) পক্ষ থেকে এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় সম্পূরণ প্যাকেজ। করোনাভাইরাস মহামারির ধাক্কা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) এ তহবিলের অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, বরাদ্দ তহবিলের মধ্যে ২ হাজার ৩৫০ কোটি ডলার দিচ্ছে উচ্চ ও মধ্যম আয়ের ৪৮টি দেশ। অর্থ তোলা হচ্ছে পুঁজিবাজারগুলো থেকে, থাকছে বিশ্বব্যাংকের নিজস্ব অবদানও। জাপান আয়োজিত দুদিনব্যাপী এক ভার্চুয়াল বৈঠকে এই তহবিলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আইডিএ’র ৬১ বছরের ইতিহাসে এত বড় প্যাকেজ আগে কখনই অনুমোদন পায়নি।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন, কোভিড-১৯ সংকট থেকে পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় দরিদ্র দেশগুলোকে সহায়তা করতে আমাদের অংশীদারদের এই অকৃপণ প্রতিশ্রুতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ মানুষের জীবনমান উন্নত করতে একটি অখণ্ড ও দক্ষ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে আইডিএ’র ওপর অংশীদাররা আস্থা রাখায় আমরা কৃতজ্ঞ।
আইডিএ তহবিল সাধারণত তিন বছর পরপর সম্পূরণ করা হয়। তবে করোনা মহামারির কারণে সবশেষ অর্থায়ন এক বছর এগিয়ে নেওয়া হয়েছিল, যা ২০২৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত চলবে।
বিশ্বব্যাংক বলছে, এই তহবিল দেশগুলোকে মহামারি, আর্থিক ধাক্কা এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলায় আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।
বিশ্বজুড়ে ৭৪টি দেশ এই অর্থসহায়তা পেলেও এর প্রায় ৭০ শতাংশই যাবে আফ্রিকা মহাদেশে। দক্ষিণ এশিয়ায় আইডিএ’র এই তহবিল পাওয়ার যোগ্য দেশগুলো হচ্ছে বাংলাদেশ, ভুটান, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান।
আইডিএ’র ঋণের শর্তাবলী খুবই রেয়াতযোগ্য। যার মানে, ধারের এই অর্থে সুদ অত্যন্ত কম বা পুরোপুরি শূন্য থাকে। আর সেই শর্তগুলো নির্ধারিত হয় প্রাপক দেশগুলোর ঋণ সংকটের ঝুঁকি, মাথাপিছু আয় এবং ঋণ পাওয়ার যোগ্যতার পরিপ্রেক্ষিতে। এক্ষেত্রে ‘ব্লেন্ড ক্রেডিট’ শর্তে আইডিএ থেকে অর্থ পাবে বাংলাদেশ।