নিজস্ব প্রতিবেদক : জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ধ্বংস করা হয়েছে বলে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করেছে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর। এছাড়াও গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এক হাজার ৪৩৭টি মামলা করা হয়। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। পরে তিনি জানান, বাজারে ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি টাকার উত্তোলন করে ধ্বংস করা হয়েছে। তার একটি প্রতিবেদন আদালতে উপস্থাপন করেছি। প্রায় দেড় হাজার মামলা দেওয়া হয়েছে। এখানেও সাত কোটি টাকার ওপরে জরিমানা করেছি। আগামী তিন মাসের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল ওষুধ বিরোধী অভিযানের সর্বশেষ প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এর আগে এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এক আদেশে হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার/ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর থেকে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হলো।
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১০ মে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ওই বছরের ১৭ জুন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।