ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে দেশটির সিনেট। এই পদে পিটারকে মনোনয় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস। শনিবার সেই মনোনয়ন অনুমোদ করেছে সিনেট।
বর্তমান রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারের স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে পিটার ডি হাসের। বর্তমানে তিনি দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অর্থ ও বাণিজ্যবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী সেক্রেটারির দায়িত্ব পালন করছেন। তার মূল পদ হচ্ছে-একই মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ সহকারী সচিব। তার কর্মস্থল ওয়াশিংটন ডিসিতে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত ৯ জুলাই বাংলাদেশে পরবর্তী মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে পিটার ডি হাসকে মনোনয়ন দেন।
পিটার হাস যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সার্ভিসে তার কর্মজীবনে ভারতের মুম্বাইয়ে যুক্তরাষ্ট্র কন্স্যুলেট জেনারেলে কনসাল জেনারেল ছাড়াও পররাষ্ট্র দপ্তরে পাঁচটি ভৌগলিক ব্যুরোতে দায়িত্ব পালন করেছেন।
পিটার হাস জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কলায় স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৮ মালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ইলিয়ন বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়াশোনা করেন এবং এরপর তিনি লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিকস থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মরক্কোর মার্কিন দূতাবাসে কূটনীতিক হিসেবে তার প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। এর পর যুক্তরাজ্য এবং ভারতেও মার্কিন দূতাবাসে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন পিটার।
সিনেটের অনুমোদন পেলে তিনি আর্ল আর মিলারে স্থলাভিষিক্ত হবেন। আর্ল আর মিলার ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর থেকে বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।