হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাহুবলে যুব সংহতি নেতা রফিক হত্যা মামলা আদালতে সাক্ষির মুখে গেলে ও মামলার বাদিকে একদল কুচক্রি মহল আপোস মিমাংসার জন্য হুমকি দিচ্ছে।মামলা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বাদি। উল্লেখ্য, গত ২০১৬ ইং সালে ২৮ ফেব্রয়ারি রাত অনুমান আড়াইটার দিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে একদল খুনি রফিকুল ইসলামকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে লাশ টুকরো টুকরো করে রেল লাইনে ফেলে রাখে। এ ঘটনার মামলা দায়েরের পর সকল তথ্য পুলিশ উদঘাটন করে আদালতে প্রেরণ করে। বর্তমানে মামলা সাক্ষির মুখে রয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যায় এডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ মামলার বাদি ও তার ভাইকে ডেকে নিয়ে জানান, তাদের মামলা চালাবেন না। এ সময় মামলার বাদি ও আত্নীয়-স্বজন বারবার অনুরোধ করলে ও তিনি কথা বলতে রাজি হননি। গত ১০ ডিসেম্বর আদালতে ঐ মামলার সাক্ষ নেয়ার কথা ছিল কিন্তু সাক্ষ্য নেয়া হয়নি। এদিকে নিহতের ২ ভাই ব্যাকুল হয়ে ভাই হত্যার উপযুক্ত বিচার দাবি করেছে। নিহত রফিকের ৩ অবুঝ সন্তান রয়েছে। তারা কি পিতা হারানোর বিচার পাবে না? শিশু সন্তানের মা তাছলিমা বেগম তার স্বামী হারানোর বিচার দাবি করেছে। এ নিয়ে চলছে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়। এদিকে নিহত রফিকের মা ফুল বানু পুত্রশোকে অকালে মৃত্যুবরণ করেছে। নিহত রফিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়ি বাহুবল উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামের আব্দুর রহমানের পুত্র।