বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় খুব শিগগির মতামত জানাবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) গুলশানের লেকশোর হোটেলে ‘মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা ও মানবিক মূল্যবোধ’ শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত জানানো হলেও বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে দীর্ঘদিন কেন মতামত দেওয়া হচ্ছে না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আনিসুল হক বলেন, আমি খুব শিগগির আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত দিয়ে দেবো।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়ে আমার কাছে সুপ্রিম কোর্টের বিএনপি সমর্থিত ১৫ জন আইনজীবী এসেছিল। তাদের বক্তব্যে কোথাও কোনো আইনি সাপোর্ট ছিল না। তারা যে বক্তব্য দিচ্ছে কোনো আদালতও সেটা সাপোর্ট করে না বরং আমি যে বক্তব্য দিয়েছি, আমি সংসদেও বলেছিলাম, অনেক রায়ে সেটার সাপোর্ট রয়েছে।
আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ক্ষেত্রে মানবিক বিবেচনার সুযোগ রয়েছে কিনা- সে প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এটা আইনের দিক দিয়ে দেখতে হবে। কারণ সরকার যখন কোনো পদক্ষেপ নেবে, সেটা অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ হতে হবে।
তিনি বলেন, এর আগে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এবং তার মানবিক পদক্ষেপে যেটা সিদ্ধান্ত ছিল তার অভিব্যক্তি হচ্ছে এই ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় তার দ্বন্দ্ব স্থগিত রেখে তাকে মুক্তি দেওয়া।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পাঠানো চিঠি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য থেকে যে চিঠিটি পাঠানো হয়েছিল, তাতে তথ্যের ভুল ছিল। সেই ভুল তথ্যের ব্যাপারে আমার সঙ্গে যখন ব্রিটিশ হাইকমিশনারের দেখা হয়, তখন আমি সেটা পরিষ্কার করেছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, হাইকমিশনারকে পরিষ্কারভাবে আমাদের আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছি এবং বেগম খালেদা জিয়া যে মুক্ত এবং তার আইনি অবস্থানটা তাদের বুঝিয়েছি। শেষ কয়েকদিন আগেও আবার আমার সঙ্গে যখন তাদের কথা হয়েছে, তারা সেই বিষয়টা কারেকশন করবে বলেছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ বিষয়টি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় খতিয়ে দেখছে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তারা সারাবিশ্বের মানবাধিকার রক্ষার ওয়াচডগ। সরকার পরিচালনা করতে গেলে একটি দ্বন্দ্ব তাদের সঙ্গে থাকবে। তাদের একটি বক্তব্য থাকবে, সরকারের একটি বক্তব্য থাকতে পারে। আমি সেই বক্তব্যে দ্বন্দ্বের কথাই উল্লেখ করেছি এর আগে।