আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কানাডায় পৌঁছেছে। স্থানীয় সময় রোববার রাতে ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়ে একটি কার্গো বিমান কানাডায় অবতরণ করেছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো জানিয়েছেন, সোমবার থেকে যত দ্রুত সম্ভব টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে। যুক্তরাজ্যের পর পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে চলতি সপ্তাহে প্রথম কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রেই করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সম্প্রতি দেশ দুটিতে করোনা ভ্যাকসিনের জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। রোববার রাতে এক টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো লিখেছেন, ফাইজার এবং বায়োএনটেকের প্রথম ব্যাচের কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ কানাডায় এসে পৌঁছেছে। ওই টুইট বার্তার সঙ্গে তিনি একটি কার্গো বিমানের ছবি যুক্ত করেছেন। মার্কিন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি ফাইজার এবং এর অংশীদারী জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের ডোজ ওই বিমানে করেই সরবরাহ করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে কানাডার ১৪টি স্থানে ৩০ হাজার ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রথম ধাপে করোনার বেশি ঝুঁকিতে থাকা লোকজন বিশেষ করে, বয়স্ক লোকজন যারা দীর্ঘদিন ধরে কেয়ার সেন্টারে আছেন এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকা আগে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার বেলজিয়াম থেকে ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে তা জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র হয়ে কানাডায় পৌঁছেছে। পরবর্তীতে কানাডার বিভিন্ন স্থানে ভ্যাকসিনের ডোজ পাঠানো হবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্যে বড় পরিসরে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন কর্মসূচি শুরু হয়। দেশটিতে প্রথমবারের মতো ভ্যাকসিন নিয়েছেন ৯০ বছর বয়সী মার্গারেট কেনান। তিনি নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের এনিস্কিলেন শহরের বাসিন্দা।
যুক্তরাজ্যের প্রায় ৭০টি হাসপাতালে মঙ্গলবার ভ্যাকসিন কর্মসূচির আওতায় করোনার সম্মুখসারির যোদ্ধা হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী, ৮০ বছরের বেশি বয়সী লোকজন ও কেয়ারহোমের কর্মীদেরকেই প্রথম সারিতে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ভ্যাকসিন গ্রহণের মাধ্যমে লোকজন আবারও স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এদিকে, কানাডায় ভ্যাকসিন পৌঁছানোর খবর জানানোর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো এক টুইট বার্তায় বলেন, এটা একটি ভালো খবর যে, ভ্যাকসিন চলে এসেছে। কিন্তু কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধ এখনও শেষ হয়নি। কানাডায় এখন পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার ৭৪৩ জনের দেহে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে। গতকাল রোববার নতুন করে ৫ হাজার ৮৯১ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। কানাডায় এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৩ হাজার ৪৩১ জন। এর মধ্যে শনিবার মারা গেছে ৮১ জন।