1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে পালানোর কারণ জানালো সেই ২ গৃহবধূ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২১

পশ্চিমবঙ্গের বালির নিশ্চিন্দায় রাজমিস্ত্রি প্রেমিকদের হাত ধরে দুই গৃহবধূর ঘর ছাড়ার ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। বুধবার ভোরে আসানসোল স্টেশন থেকে সন্তানসহ নিখোঁজ দুই গৃহবধূ এবং তাদের দুই প্রেমিককে আটকের পর ঘটনা পরিষ্কার হয় সবার কাছে। পুলিশি জেরায় ওই দুই গৃহবধূ জানিয়েছেন, কেন তারা রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর শীতের পোশাক কিনতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা অনন্যা কর্মকার, তার জা রিয়া কর্মকার এবং রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুষ। জানা গেছে, অনন্যার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাজমিস্ত্রি শেখর রায়ের। তার জা রিয়া বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান রাজমিস্ত্রি শুভজিৎ দাসের সঙ্গে। কিন্তু কেন? সে কথা পুলিশকে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া।

অনন্যা পুলিশকে জানিয়েছেন, আট বছর বিয়ে হলেও সন্তান হয়নি তার। কাজে ব্যস্ত স্বামী বেশি সময়ও দিতে পারতেন না তাকে। সব মিলিয়ে সংসার জীবনে একঘেয়েমি গ্রাস করেছিল। একই সমস্যা তার জা রিয়ারও। ১০ আগে বিয়ে হওয়া রিয়ার ৭ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু স্বামী সময় দিতে না পারাতেই বিরক্তি তৈরি হয়েছিল তার মনেও।
এরকম অবস্থাতে রাজমিস্ত্রি শেখর এবং শুভজিতের সঙ্গে আলাপ হয় তাদের। শেখর এবং শুভজিৎ দু’জনেই মিষ্টভাষী ছিলেন। দুই রাজমিস্ত্রি সহজে সকলের সঙ্গে মিশতে পারতেন বলে পুলিশে জানিয়েছেন অনন্যা এবং রিয়া। এই গুণের জন্য দুই রাজমিস্ত্রি অল্প সময়ে মন জয় করে নেন কর্মকার পরিবারের গৃহবধূদের। ক্রমে তাদের আলাপ গাঢ় হয়। এরপরই তারা বাড়ি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রাজমিস্ত্রিদের সঙ্গে একাধিকবার এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা যায় ২ বধূকে, যা নিয়ে স্থানীয়দের মনে খটকা লেগেছিল। পুলিশ সূত্র বলছে, নিশ্চিন্দার আনন্দনগরে কর্মকার পরিবারের বাড়িটি নির্মিয়মান। দোতলা বাড়িটির প্রাথমিক নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে ৬ মাস আগে। তার আগে দীর্ঘদিন ওই বাড়ির নির্মাণে যুক্ত ছিলেন ২ রাজমিস্ত্রি সুভাষ ও শেখর।

মুর্শিদাবাদের সুতির বাসিন্দা সুভাষের সঙ্গে প্রথমে বড় বউ অনন্যা কর্মকারের প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে অনন্যার কাছে ব্যক্তিগত কোনো মোবাইল ফোন ছিল না। তাই বাড়ি ছাড়ার আগে তাকে একটি মোবাইল ফোন কিনে দিয়ে যান ওই যুবক। সেই মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন ওই রাজমিস্ত্রি। এরপর ধীরে ধীরে আরেক রাজমিস্ত্রি শেখরের সঙ্গে ছোট বউ রিয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি