টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ে (বায়োবাবল) থেকে ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে নেতিবাচক মন্তব্য করে আসছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা। বন্দি জীবনে এক প্রকার হাঁপিয়ে উঠছেন সবাই ক্রিকেটাররা। এই ধকল থেকে রেহাই পেতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতিই নিয়ে ফেলেছিলেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস।
টানা বায়োবাবলে থেকে ক্রিকেট চালিয়ে যেতে যেতে রীতিমতো ক্লান্ত সাকিব আল হাসানও। কোয়ারেন্টিনের গ্যারাকল থেকে মুক্তি পেতে টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিরতির কথা ভাবছেন তিনি। যদিও বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিকল্পনা এই অলরাউন্ডারের।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমার কাছে কোনটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা আমি জানি, কোন জিনিসকে অগ্রাধিকার দিতে হবে সেটাও আমি জানি। আসলে এমন একটা সময় এসেছে, আমি টেস্ট থেকে বিরতি নেওয়ার চিন্তা করছি। এটাই হচ্ছে মূল কথা যে, আমি আদৌ টেস্ট খেলব কি না। খেললেও কীভাবে খেলব।’
শুধু টেস্ট নয় বরং ২০২২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সংক্ষিপ্ত এই ফরম্যাট ছাড়ারও কথা জানান সাকিব। তবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘এমনও হতে পারে—২০২২-এর বিশ্বকাপের পর আমি যদি আর টি-টোয়েন্ট না খেলি, তখন আবার ওয়ানডে ও টেস্ট খেললাম। একসঙ্গে তিন ফরম্যাটে খেলা প্রায় অসম্ভব আমার জন্য। কারণ, আপনি যদি ৪০-৪২ দিনে দুটি টেস্ট খেলেন, এটা কোনোভাবেই ফ্রুটফুল নয়।’
‘স্বাভাবিকভাবে, আমাকে সিলেকটিভ ম্যাচ খেলতে হবে। এগুলো নিয়ে বিসিবির সঙ্গে বসে একটা পরিকল্পনা করা জরুরি। সেভাবেই সামনে এগোনো বুদ্ধিমানের কাজ হবে। জানুয়ারির ভেতরে পরিকল্পনাগুলো করলে ভালো হবে। ’
কেবলমাত্র কোয়ারেন্টাইন বাধার কারণেই এমনটা ভাবছেন সাকিব। বিষয়টি খোলাসা করে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, জেলখানায় যদি আপনাকে দিয়ে দেওয়া হয়, যেমন জীবন থাকবে, ঠিক তেমনই। জেলখানায়ও মানুষ কারও সঙ্গে কথা বলতে পারে। তবে, এমন নয় (যে), খেলোয়াড়েরা অনেক ঘোরাঘুরি করেন। যখন আপনি জানবেন, চাইলেই বের হতে পারবেন না, প্রবলেম সেখানে। ’
নিউজিল্যান্ড সফর থেকে ছুটি নিয়ে বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে আছেন সাকিব। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বরিশালের হয়ে খেলতে জানুয়ারিতে দেশে ফিরবেন এই অলরাউন্ডার।