অর্থনৈতিক বিকাশের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে ২০৩৬ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের ক্ষমতা, তৈরি পোশাকের বাড়তে থাকা চাহিদা ও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীল থাকায় ১৯১টি দেশের মধ্যে এই অবস্থান অর্জন করবে বাংলাদেশ।
শনিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল প্রতিবেদনে এমন তথ্যই প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ-সিইবিআর।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ গেল এক দশক ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বাড়তে থাকা অর্থনীতিগুলোর মধ্যে রয়েছে। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অবস্থান ৪২ তম।
২০২২ সালে ৪১ তম স্থানে থাকার পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা ২০২৬ সাল নাগাদ ৩৪ তম স্থানে এবং ২০৩৬ সালে ২৪ তম অবস্থানে পৌঁছাবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ করোনাভাইরাসের মধ্যেও কিছুটা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে পেরেছে, সামনের বছরগুলোয় বাংলাদেশে ধারাবাহিক এবং জোরালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন হবে বলে জানিয়েছে সিইবিআর।
সংস্থাটি বলছে, কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর আগের বছরগুলোয় বাংলাদেশে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ছিল বেশ ভালো। বিশ্বের অন্যান্য দেশে কোভিড-১৯ যেভাবে ছড়িয়েছে, সে তুলনায় বাংলাদেশে সংক্রমণ অনেক সীমিত রাখা গেছে।
চলতি ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে মারা গেছে প্রতি ১ লাখে ১৭ জন। মহামারির কারণে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব কিছুটা কম থাকা সত্ত্বেও অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অন্য অনেক দেশে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলেও বাংলাদেশ তা এড়াতে পেরেছে।
২০২০ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ৫ শতাংশ হয়েছে, যা অন্তর্জাতিক মানদণ্ডে একটি বড় অর্জন। ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ।
দেশে জনসংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও প্রবৃদ্ধিও বেড়েছে। পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ছে গড়ে ১ শতাংশ হারে। ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল চালিকাশক্তি ছিল প্রবাসী আয় ও রপ্তানি প্রবৃদ্ধি। সিইবিআর আশা করছে এ বছর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৪.৬ শতাংশ।