ফ্রান্সে একদিনে রোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজারের বেশি মানুষ। করোনাভাইরাসের মহামারি শুরুর পর থেকে এক দিনে এটিই সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
ইউরোপের দেশগুলোয় করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে ফ্রান্সে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের রেকর্ড হলো। দেশটিতে নতুন করে মারা গেছেন ২৯০ জন।
ইউরোপজুড়ে উৎসবের মৌসুম শুরু হয়েছে। এর পর থেকেই দেশগুলোয় করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। ফ্রান্সের পরিস্থিতি তুলে ধরে গত সোমবারই সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অলিভার ভেরান।
তিনি বলেছিলেন, জানুয়ারির শুরুর দিকে দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণ আড়াই লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া দেশটির হাসপাতালগুলোর সংগঠন ফ্রান্স হসপিটাল ফেডারেশন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেছে, সবচেয়ে কঠিন সময় এখনো আসেনি।
ফ্রান্সে বেশ কিছুদিন ধরে আক্রান্তের হার কম থাকলেও ৪ ডিসেম্বর থেকে ফ্রান্সে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। এদিন দেশটিতে ৫০ হাজার মানুষের করোনা শনাক্ত হয়। এর পর থেকে সংক্রমণ উর্ধ্বমূখী।
পরিস্থিতি সামাল দিতে ফ্রান্সে এখন থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা সপ্তাহে কমপক্ষে তিন দিন বাসায় থেকে কাজ করবেন। এ ছাড়া বড় জনসমাগমের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
দেশটির সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কেউ গণপরিবহনে খাবার খেতে বা পানীয় পান করতে পারবেন না। ঘরের বাইরে বের হলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে দেশটিতে।
এ ছাড়া শুক্রবার ফ্রান্সের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ সুপারিশ করেছে, প্রাপ্তবয়স্করা যেন প্রাথমিক পর্বের টিকা নেওয়ার তিন মাস পর বুস্টার ডোজ নেন। দেশটির সরকার এখন শুধু বুস্টার ডোজ সম্পন্নকারীদেরই হেলথ পাস দিচ্ছে। বিদেশভ্রমণ ছাড়াও ক্যাফে, রেস্তোরাঁ ও জনাকীর্ণ জায়গায় যেতে এ পাস দেখাতে হচ্ছে।
খবর বিবিসি