চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই নবাগত ব্রেন্টফোর্ড প্রিমিয়ার লিগে বেশ অঘটনের জন্ম দিয়েছে। হারিয়েছে আর্সেনালকে; লিভারপুল, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে দিয়েছিল রুখে। ম্যানসিটির বিপক্ষেও কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই দাঁড়িয়েছিল দলটি। তবে তাদের সে চেষ্টাকে রুখে গার্দিওলার দল জিতেছে ১-০ গোলে। তাতে দলটার বছরটা শেষ হলো লিগে টানা দশম জয় নিয়েই।
শেষ তিন ম্যাচে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়েছিল সর্বমোট ১৭ গোল। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ১৬ মিনিটে যখন কেভিন ডি ব্রুইনার পাস থেকে ফিল ফোডেনের লক্ষ্যভেদে প্রথম গোলের দেখা পেল সিটি, তখন মনে হচ্ছিল, এই বুঝি গোল-বাণের দুয়ার খুলে গেল।
তবে ব্রেন্টফোর্ড এর পর ম্যাচে ফেরার চেষ্টায় আক্রমণ শানাতে থাকে ভালোভাবেই। তবে সিটি রক্ষণ দেয়াল তুলে দাঁড়ায় দলটির সামনে। ফলে আক্রমণ করলেও গোলের দেখা আর পায়নি স্বাগতিকরা।
উল্টো সিটিই দ্বিতীয় গোল পেয়ে যেতে পারতো ম্যাচের শেষ দিকে। তবে আইমেরিক লাপোর্তের ৮৭ মিনিটের চেষ্টাটা গোলে রূপ নেয়নি অফসাইডের কাটায়। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় দলটিকে।
অন্যদিকে ব্রাইটন এন্ড হোভ অ্যালবিয়নের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইউরোপসেরা চেলসি।
শুরুতে এগিয়েই গিয়েছিল কোচ থমাস টুখেলের দল। ২৮তম মিনিটে রোমেলু লুকাকুর গোলে এগিয়ে যায় ব্লুজরা। এরপর সময় যত গড়াচ্ছিল, গোলের দেখা আর পাচ্ছিল না সিটি, তখন মনে হচ্ছিল সিটির মতো ফল হয়তো পেতে যাচ্ছে চেলসিও।
তবে ম্যাচের অন্তিম সময়ে ড্যানি ওয়েলব্যাকের গোল চেলসির সে আশা শেষ করে দেয়। ১-১ ড্রয়ে বাধ্য হতে হয় দলটিকে।
নিজেদের শেষ ম্যাচে দুইয়ে থাকা চেলসির এই ড্র, আর সিটির জয়ে প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে সিটির জায়গাটা আরও পাকাপোক্ত হলো। ২০ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট জিতেছে গার্দিওলার দল। আর চেলসি সমান ম্যাচে জিতেছে ৪২ পয়েন্ট। তাদের চেয়ে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তালিকার তিনে আছে লিভারপুল। চারে থাকা আর্সেনালের সংগ্রহ ৩৫ পয়েন্ট।