২০১৪ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পর দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে ক্যাপ্টেনসিও করেছেন। চলমান ভারত সফরের দলে ছিলেন। খেলেছেন সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট।
তবে প্রথম সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন, এই সুসংবাদ পেয়েসন্তানসম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতে পিতৃত্বকালীন ছুটির আবেদন করেছিলেন ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকায় (সিএসএ)। পিতৃত্বকালীন ছুটি মঞ্জুর হয়েছে ডি কক-এর ।
ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজের শেষ দুটি খেলার কথা ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার এই উইকেট কিপার ব্যাটারের। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের দুঃসহ পরিস্থিতিতে ২৯ বছর বয়সেই টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই জানিয়েছেন। ৫৪ টেস্টে থেমে গেলো এই প্রোটিয়ার টেস্ট ক্যারিয়ার। উইকেট কিপিংয়ে ২৩২ ডিসমিসালের পাশে ৬ সেঞ্চুরি, ২২ ফিফটিতে ৩৮.৮২ গড়ে ৩ হাজার ৩০০ রানেই থামতে হলো তাকে।
ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকাকে দেয়া বিবৃতিতে জানিয়েছেন ডি কক এই অবসরের ঘোষণা-‘এই সিদ্ধান্ত খুব সহজে নেইনি । ভবিষ্যতের কথা ভেবে সামনের পথচলায় কোনটিকে বেশি প্রাধান্য দিব, এসব নিয়ে অনেক ভেবেছি আমি। সাশা (আমার স্ত্রী) ও আমি আমাদের প্রথম সন্তানকে দেখতে মুখিয়ে আছি। তাদেরকে নিয়ে পরিবার গড়ে তুলতে চাই।পরিবারই আমার কাছে সবকিছু এবং আমাদের জীবনের এই নতুন ও রোমাঞ্চকর সময়ে ওদের সঙ্গে কাটানোর সময় ও সুযোগ চাই।’
টেস্ট ক্রিকেটে চলার পথটাকে উপভোগ করলেও টেস্টকে গুডবাই জানানোর এটাই উপযুক্ত সময় বলে মনে করছেন ডি কক- ‘টেস্ট ক্রিকেটকে আমি ভালবাসি। দেশের হয়ে টেস্ট ক্রিকেট খেলে সে ভালবাসা অনুভব করেছি। উন্থান পতনও উপভোগ করেছি। এমনকি হতাশাও উপভোগ করেছি। জীবনে, আপনি সময় ব্যতীত প্রায় সবকিছুই কিনতে পারেন। তবে এই মুহূর্তে, আমার কাছে সবচেয়ে বেশি অর্থপূর্ণ লোকদের দ্বারা সঠিক কাজ করার সময় এসেছে।’ অর্থাৎ সেঞ্চুরিয়নেই থেমে গেলো ডি কক-এর টেস্ট ক্যারিয়ার
টেস্ট ক্রিকেটকে গুডবাই জানালেও সাদা বলের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে যাবেন বলে জানিয়েছেন ডি কক।