অতিবড় সমালোচকও মানেন, মাশরাফি বিন মর্তুজাই বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক। মাশরাফি থাকা মানেই দল আর ড্রেসিংরুম চাঙ্গা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে অধিনায়ক মাশরাফির হাত ধরেই এসেছে বড় বড় সাফল্য। কিন্তু ভুলে গেলে চলবেনা, ক্রিকেটার মাশরাফির বড় পরিচয় তিনি পেসার। ফাস্ট বোলার মাশরাফিও অনেক বড়। দেশের সবসময়ের অন্যতম সেরা।
৩৭ পার করা মাশরাফির বলে সেই আগ্রাসী ভাব নেই। তবে গতি কমলেও লাইন ও লেন্থটা এখনও নিখুঁত। এক জায়গায় বলেকয়ে বল ফেলতে পারেন। সঙ্গে সুইং, স্লোয়ার আর কাটারের মিশেলে নড়াইল এক্সপ্রেস এখনও অনেক পেসারের চেয়ে এগিয়ে।
সেই মাশরাফিই এবার মুগ্ধতা প্রকাশ করলেন তাসকিন-এবাদতদের নিয়ে। তার মতে, ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের পেসাররা আগে থেকেই ভালো করছেন, এবার নিউজিল্যান্ডে গিয়ে নিজেদের প্রমাণ করেছেন এবাদত হোসেন, তাসকিন আহমেদরাও।
মাশরাফি বলেন, ‘পেস বোলারদের নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। অথচ টি-টোয়েন্টি দেখুন, পেসাররাই ভালো করে আসছে। তাসকিন ভালো করেছে। টেস্টে একটা জায়গা ছিল যেখানে পেসাররা তেমন প্রভাব রাখতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে পেসাররা কখনও এত খারাপ করেনি। টেস্টে কাজ করার সুযোগ আছে। কাজ করলে ফলাফলও আসছে।’
সঙ্গে যোগ করেন, ‘তাসকিনের দিকে তাকান, এবাদত ভালো করছে। এবাদত এমনি এমনি ভালো করেনি। ও লম্বা সময় ধরে খেলছে এবং ওকে টেস্টে বিবেচনা করা হয়েছে। তাকে নিশ্চিত করা হয়েছে তুমি খেলছো। সে জানে এটা আমার ফিউচার, এখানে সার্ভিস দিতে হবে। একটা খেলোয়াড়ের সেট হতেও সময় লাগে। রাহিও (আবু জায়েদ) অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে। যখন জায়গাটা পায়, তখন ফলাফল আসে।’
মাশরাফি মনে করেন, পেসারদের ওপর যত আস্থা রাখা যাবে, ততই তারা ভালো করবে। তার ভাষায়, ‘গত বিপিএল থেকে এবাদত দারুণ বোলিং করছে। টেস্টে হয়তো অনেক সময় উইকেট পক্ষে ছিল না। বাংলাদেশে খেলা হলে স্পিনাররাই বেশি বোলিং করে। তবে মিরপুরের উইকেটে পেসারদের ভালো করার সুযোগ থাকে। কতটুকু আস্থা আপনার আছে, এটাও প্রভাব রাখে। আপনার আস্থা না থাকলে পেসারের আস্থাও কমে যায় নিজের ওপর।’
মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে বলে মত মাশরাফির। তিনি বলেন, ‘শুধু খেলোয়াড় না, বাইরের অনেকেও চাইলে অনেক প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারবে। এখানেই সব লেসন আছে।’