প্রিমিয়ার লিগের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির জয়ের রথ যেন থামার নামই নিচ্ছে না। আজ চেলসির কাছে কিছুটা হোঁচট খাওয়ার অবস্থা চলে গিয়েছিল তারা। কিন্তু ৭০ মিনিটের মাথায় কেভিন ডি ব্রুইনের দুর্দান্ত এক গোলে সেই শঙ্কাও উড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
লিগ তালিকার শীর্ষে আগে থেকেই অনেকটা এগিয়ে রয়েছে সিটি, তবে আজ (শনিবার) দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির সামনে সেই ব্যবধান কিছুটা কমানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। চেলসিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে টানা ১২ নম্বর লিগ ম্যাচ জিতল পেপ গার্দিওলার দল।
সে সঙ্গে দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির সঙ্গে ১৩ পয়েন্টের ব্যবধান তৈরি করে নিল ম্যানসিটি। ২২ ম্যাচ শেষে পেপ গার্দিওলার দলের পয়েন্ট ৫৬। দ্বিতীয় স্থানে থাকা চেলসির পয়েন্ট সমান সংখ্যক ম্যাচে ৪৩। ২০ ম্যাচে লিভারপুলের অর্জন ৪২ পয়েন্ট। পরের দুই ম্যাচ জিতলে চেলসিকে ছাড়িয়ে হয়তো সিটির সঙ্গে ব্যবধান কিছুটা কমাতে পারবে অলরেডরা।
ঘরের মাঠ ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে স্বাভাবিকভাবেই সিটি ম্যাচে দাপট দেখায়। শুধুমাত্র গোলরক্ষক কেপা আরিজাবালাগার কৃপায় কোনোরকমে ম্যাচে টিকে ছিল চেলসি। কেপা তিন তিনটি বিশ্বমানের সেভ করে প্রথম ৪৫ মিনিটের শেষে ম্যাচের স্কোরলাইন গোলশূন্য রাখতে সক্ষম হন।
প্রথমার্ধ কার্যত একেবারে নিস্তেজ দেখালেও, দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই চেলসি বেশ কয়েকটি গোলের সুযোগ তৈরি করে। পশ্চিম লন্ডনের দলের হয়ে রোমেলু লুকাকু গোল করার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েছিলেন। তবে দ্রুত গোল থেকে বেরিয়ে এসে লুকাকুর শট দারুণভাবে রুখে দেন সিটি গোলরক্ষক এডারসন।
সময় গড়ালে জয়ের জন্য মরিয়া সিটি বারবার চেলসি রক্ষণের সামনে আটকে যাচ্ছিল। তবে দলে একগুচ্ছ বিশ্বমানের ফুটবলার থাকলে যা হয়, ঠিক সেটাই করে দেখাল সিটি। ৭০ মিনিটে, নিজের সাবেক দলের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত গোলে সিটিকে লিড এনে দেন কেভিন ডি’ব্রুইন।
জাও ক্যান্সেলোর পাস থেকে দুরন্ত রান নিয়ে একাই চেলসি রক্ষণকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়ে, ১৮ গজ দুর থেকে দুর্র্ধষ বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করেন ডি’ব্রুইন। এটি চেলসির বিরুদ্ধে তার পঞ্চম গোল ছিল। ম্যাচে আর কোনো গোল না হওয়ায়, তিন পয়েন্ট পকেটে নিয়েই মাঠ ছাড়ে গার্দিওলার দল।
এ নিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টানা ১৩ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি পেপ গার্দিওলার দল। লিভারপুল রয়েছে তাদের পেছনে। তারা টানা ১০ ম্যাচ কোনো গোল হজম করেনি।