আইনি লড়াইয়ে পরাজিত হয়ে অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে বাধ্য হলেন টেনিস তারকা নোভাক জোকোভিচ। রবিবার করোনা ভাইরাসের টিকা বিষয়ে আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় টেনিসের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১তম গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতে খেলাটির সবচেয়ে সফল তারকায় পরিণত হবার স্বপ্ন শেষ হয়ে গেল সার্বীয় তারকার।
এদিন আদালতের সিদ্ধান্তে ‘খুবই হতাশ’ জোকোভিচ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না বলেই জানিয়েছেন। দীর্ঘ এক যুগ ধরে আসরে আধিপত্য ধরে রাখা জকোভিচ বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারছি না এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারব না। আশা করি, সবাই এই টুর্নামেন্টের দিকে মনোযোগ দেবেন, আমি এ টুর্নামেন্টকে ভালোবাসি।’
রবিবার বিকেলে মেলবোর্নের টুলামারিন বিমানবন্দরে জোকোভিচের একটি ছবি তুলেছেন এএফপির একজন সাংবাদিক। সেখানে তিনি দুবাইগামী একটি বিমানে চড়ে বসেছেন। ইকে ৪০৯ বিমানটি স্থানীয় সময় ১০টা ৫১ মিনিটে বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়ন করে। এর এক ঘণ্টা আগে করোনার টিকা গ্রহণ না করা জকোভিচের ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয় অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল আদালতের ৩ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, জকোভিচ ভিসা পেলে অস্ট্রেলিয়ান নাগরিকদের মধ্যে টিকা গ্রহণ না করার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। দিনের প্রায় আধাবেলা ধরে শুনানির পর এ সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেল আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্টিফেন লয়েড বলেন, মাহামারির দুই বছরেও টিকা গ্রহণ করেননি জোকোভিচ। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেছেন। এমনকি কোভিড-১৯ সংক্রমিত হবার পরও আইসোলেশনে যাননি। তার টিকাবিরোধী কার্যক্রমের এ রকম অনেক উদাহারণ রয়েছে।
লয়েড আরও বলেন, ‘তিনি এখন টিকা বিরোধী শিবিরের আইকনে পরিণত হয়েছেন। ইচ্ছাকৃতভাবেই হোক কিংবা অজান্তে, তিনি টিকা বিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিকিৃৎ হয়ে উঠেছেন। এখানে তার উপস্থিতি এটাকে আরও উস্কে দিতে পারে।’
এদিকে আদালতের সিদ্ধান্তে ‘হতাশ’ জোকোভিচ এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন না উল্লেখ করে আরও বলেন, ‘আমার ভিসা বাতিলের বিষয়ে মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত পর্যালোচনায় যে আবেদন আমি করেছিলাম, আদালত তা খারিজ করে দেয়ায় আমি সত্যিই হতাশ। এর অর্থ হচ্ছে- আমি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে পারছি না, এবং অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিতে পারছি না।’