শুধুমাত্র নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জন করতে না পারা বা অদক্ষতার অজুহাতে ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠান কর্মকর্তাদের প্রাপ্য পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এমন অজুহাতে তাদের চাকরিচ্যুত করা বা পদত্যাগে বাধ্য করা যাবে না বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, এসিস্টেন্ট অফিসার/ট্রেইনি এসিস্টেন্ট অফিসার/ট্রেইনি এসিস্টেন্ট ক্যাশ অফিসার অথবা সমপর্যায়ের কর্মকর্তা, যে নামেই অভিহিত হোক না কেন, ব্যাংকের এন্ট্রি পর্যায়ে নিযুক্ত কর্মকর্তাদের শিক্ষানবিশকালে ন্যূনতম বেতন-ভাতাদি হবে ২৮ হাজার টাকা। শিক্ষানবিশ শেষে কর্মকর্তাদের প্রারম্ভিক মূল বেতনসহ ন্যূনতম সর্বমোট বেতন-ভাতাদি হবে ৩৯ হাজার টাকা। নতুন নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি কার্যকর করার পর একইপদে আগের থেকে কর্মরত কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতাদি আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে।
রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকের বেতন কাঠামো সরকার কর্তৃক জারিকৃত জাতীয় বেতনস্কেলের আওতাভুক্ত/অনুসরণে নির্ধারিত বিধায় সেসব ব্যাংকসমূহের জন্য এ নির্দেশনা প্রযোজ্য হবে না।
এ দিকে মেসেঞ্জার/পরিচ্ছন্নতাকর্মী/নিরাপত্তাকর্মী/অফিস সহায়ক বা এ সমজাতীয় পদে নিযুক্ত কোনো পদে নিয়োগকৃত কর্মচারীগণের ন্যূনতম প্রারম্ভিক বেতন-ভাতাদি ২৪ হাজার টাকা হবে। এটি চুক্তিভিত্তিক বা আউট সোর্সিং কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।
তবে ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং বা অন্য কোনো প্রক্রিয়ায় ব্যাংকিং সেবা প্রদানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এ নির্দেশনা প্রযোজ্য নয়।