1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২১ অপরাহ্ন

কাপ্তান বাজার, নবাবপুরে অবৈধ নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ছড়াছড়ি, কি করছে সংশ্লিষ্ট জনেরা?

মুস্তাকিম নিবিড়
  • আপডেট : রবিবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০২২
মুস্তাকিম নিবিড়ঃ দেশে অহরহ ঘটছে শর্টসার্কিটজনিত অগ্নিকান্ডের ঘটনা। তাতে সম্পদ ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটছে। মূলত নকল এবং নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। কারণ অনেক সময়ই গ্রাহক নিজেই খরচ কমাতে গিয়ে নিম্নমানের তার ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিনে নিচ্ছে। আবার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নামি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে গিয়েও ওই একই দামে নকল ও নিম্নমানের পণ্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। তাতে গ্রাহক প্রতারিত হওয়ার পাশাপাশি বাসাবাড়ি, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে বিদ্যুৎ বিতরণকারী সংস্থাগুলোর কোনো তদারকিই নেই। তাছাড়া মান নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইয়েরও তেমন কোনো কঠোর ব্যবস্থা নেই। বাজারজুড়ে নকল ও নিম্ন মানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের বাড়ন্ত এবং গ্রাহকের অসচেতনতার কারণেই শর্টসার্কিটজনিত অগ্নি দুর্ঘটনা বাড়ছে। কারণ অনেক গ্রাহকই স্থানীয় বিদ্যুৎ মিস্ত্রি বা ইলেক্ট্রিশিয়ানের পরামর্শে ওসব সরঞ্জাম কিনে থাকেন। আর এসব নকল বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের অভয়ারণ্য নবাবপুর ও কাপ্তানবাজারের অবস্থিত ইলেকট্রিক মার্কেটগুলো, যেখান থেকে পুরো বাংলাদেশে খুচরা ব্যবসায়ী ক্রেতাদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে এ সকল নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। আর গ্রাহকের কাছে পণ্য বিক্রি বাড়াতে ওসব কোম্পানিগুলো মিস্ত্রি ও ইলেক্ট্রিশিয়ানদের আর্থিক সুবিধাও দিয়ে থাকে। তাদের মধ্যে অনেকেই বাজারে ভালোমানের বৈদ্যুতিক পণ্য তৈরিকারক হিসেবে পরিচিত বিআরবি কেবলস, বিএসবি, বিজলী, প্যারাডাইস, এমএনপি ও ইস্টার্ন ক্যাবলসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের লোগো নকল করে তারা নিম্নমানের পণ্য তৈরি, মোড়কজাত ও বাজারজাত করে চলছে।
এদিকে নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ইলেকট্রিক এ্যাসোসিয়েশন সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি কে জানান, ‘নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম যারা তৈরী করে তাদের তালিকা দিন, আমি তাদের সদস্যপদ বাতিল করার চেষ্টা করবো এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো, কিন্তু তাদেরও ব্যাবসা করার অধিকার আছে, তাদের একেবারে বন্ধ করে না দিয়ে তাদের নীতিমালার আওতায় আনা হউক’, তিনি আরও আশাবাদ ব্যাক্ত করেন সরকার গার্মেন্টস সেক্টরের মতো বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ক্ষাতেও সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়াবেন।
কিন্তু প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে বিএসটিআই এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদনবিহীন অবৈধ এসব বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরীকারী কারখানা বাংলাদেশ ইলেকট্রিক এ্যাসোসিয়েশন এর সদস্য তালিকাভুক্ত হলো কিভাবে?
নকল ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরি ও বাজারজাত প্রসঙ্গে বিএসটিআই এর সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ গোলাম রাব্বানী দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি  কে জানায়, এসব অবৈধ নিম্নমানের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী কারখানা এবং আমদানীকারকদের আমরা মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনছি। আমাদের এ কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি