এবার বুস্টার ডোজ দেওয়ার ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
আজ রবিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর মহাখালীতে বিসিপিএস অডিটোরিয়াম মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। দেশে করোনা সংক্রমণের সার্বিক পরিস্থিতি বিষয়ে জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ৯ কোটি ৭০ লাখ প্রথম ডোজ, ৬ কোটির উপরে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়া হয়েছে। এ মাসে সর্ব্বোচ্চ ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা দেয়া হয়েছে। আজ থেকে আমরা ৪০ বছর বয়সীদেরও করোনার বুস্টার ডোজ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের এখন বাড়তি টিকার দরকার নাই। তাই চীন কিংবা ভারতের সাথে চুক্তি হলেও আমরা কাউকে টিকার জন্য চাপ দিচ্ছি না।
তিনি বলেন, দেশে প্রতিদিন ১০-১৫ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। আক্রান্ত বেশি হলে মৃত্যুও বাড়বে। অনেকের লক্ষণ থাকলে পরীক্ষা করাচ্ছেন না। মৃদু বলে ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেয়া ঠিক হবে না।
মন্ত্রী বলেন, ভাসমান মানুষদের জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেয়া হবে। যেহেতু এটি সিঙ্গেল ডোজের টিকা। এ ছাড়া বাস মালিক সমিতি, দোকান সমিতিসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের তাদের সমিতির মাধ্যমে টিকা দেয়া হবে।
সরকার গত মাস থেকে করোনার টিকার নিয়মিত কেন্দ্রগুলোতে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে। ষাটোর্ধ্ব নাগরিক ও সম্মুখসারির কর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ছয় মাস পরই শুধু বুস্টার ডোজ নেওয়া যাচ্ছে। ইতোমধ্যে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, এমন ব্যক্তিরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে তৃতীয় ডোজ পাচ্ছেন। এ জন্য নতুন করে নিবন্ধনের দরকার হচ্ছে না।