1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন

নয় মাসের কম সময়ে খাদ্য নিরাপদ করা সম্ভব: খাদ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ২ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নয় মাসে এ দেশ স্বাধীন হয়েছে, সদিচ্ছা থাকলে নয় মাসের কম সময়ে খাদ্য নিরাপদ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সব স্তরে আমাদের সচেতনতা ও ইচ্ছার ঘাটতি রয়ে গেছে। উৎপাদনকারী-প্রস্তুতকারীরা বাড়তি মুনাফার লোভে খাদ্যে ভেজাল দিচ্ছেন। সরকার খাদ্য নিরাপদ করতে যেসব আইনের প্রয়োগ ও সচেতনতার প্রচার-প্রচারণা করছে সেগুলো তারা কানে নিচ্ছে, কিন্তু মনে নিচ্ছে না।

খাবার প্রস্তুতকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা ব্যবসা করছেন, লাভ করুন। কিন্তু সেটা সততার সঙ্গে পরিমিত করুন। ভেজাল দিয়ে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেবেন না। তাতে দুনিয়াতে নিজেদের ক্ষতি হবে, পাপও হবে।

সাধন চন্দ্র মজুমদার আরও বলেন, আমরা বলি কৃষক কীটনাশক দেয়। কিন্তু সেটা যখন খাবার টেবিল পর্যন্ত আসে, তা কতটা অনিরাপদ থাকে। এরচেয়ে বেশি খাবারকে অনিরাপদ করা হয় প্রক্রিয়াকরণ ও উৎপাদন পর্যায়ে। এমনকি পরিবারের মানুষ সেটা কেনার পরও অনেক সময় মুখে ওঠা পর্যন্ত সচেতনতার অভাবে অনিরাপদ করে ফেলেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি মানুষের সচেতনতা-সদিচ্ছা না থাকলে শত চেষ্টায়ও খাদ্য নিরাপদ করা যাবে না। এটা দুই-তিনটি মন্ত্রণালয়ের একার কাজ নয়। কঠোর আইন করে বা এর কঠোর প্রয়োগ করেও সম্ভব নয়। প্রত্যেকের বিবেককে জাগাতে হবে।

ব্যবসায়ীদের মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যেটা উৎপাদন করেন, সেটা কি খান? নিজে খাবার উৎপাদন করে, মানুষকে খারাপ খাইয়ে নিজের বাচ্চাদের বিদেশ থেকে এনে খাওয়াবেন, সেটা হবে না। আপনি যা বানান সেটা খাবেন। মানবিক বিষয়টা চিন্তা করবেন। আপনি না খেলেও সেটা হয়তো আপনারই কোনো ভাই বা পরিবারের কেউ খাচ্ছে।

তিনি বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা এখন খুব বড় চ্যালেঞ্জ। খাদ্য প্রাপ্তির এখন কোনো সমস্যা নেই। স্বাধীনতার পর দেশে সাত কোটি মানুষের খাবারের সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন প্রায় ১৮ কোটি মানুষের খাবার নিশ্চিত করেছে সরকার।

খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, মাছ-মাংস ও দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন উদ্বৃত্ত দেশের পর্যায়ে পৌঁছেছে। এরই মধ্যে এই পণ্যগুলোকে বহুমুখীকরণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ভোক্তার কাছে মান সম্পন্ন মাছ-মাংস ও দুধ পৌঁছানো নিশ্চিতে ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি