করোনার বিদ্যমান পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি দুই সপ্তাহ বাড়ছে। বুধবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন ‘করোনাভাইরাস বিষয়ক জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি আরও কিছুদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পরামর্শ দিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’
ডা. দীপু মনি আরও বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে পাঠদান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির পরও বন্ধ থাকবে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জাতীয় পরামর্শক কমিটি আরও কিছুদিন দেখার পক্ষে মত দিয়েছে। দৈনিক সংক্রমণ এখনও প্রায় ৩০ শতাংশ। হয়তো ৬ ফেব্রুয়ারির পর আরও দুই সপ্তাহ দেখা যেতে পারে। আমরা নিয়মিত অবস্থা পর্যালোচনা করছি। প্রয়োজনে ভিন্ন সিদ্ধান্তও হতে পারে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বলেন, কারিগরি পরামর্শক কমিটির সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর কথা হয়েছে। তারা আরও দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পরামর্শ দিয়েছে। সে অনুযায়ী আরও দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ২১ জানুয়ারি থেকে দুই সপ্তাহের জন্য বন্ধ রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সশরীরে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এর আগেও দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ ছিল সশরীরে পাঠদান। সবকিছু সচল রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে এর মধ্যেই জানা গেল, চলমান এ ছুটি বাড়ছে দুই সপ্তাহ। আর শিক্ষার্থীদের করোনার টিকানের গতি বাড়াতে টিকা সপ্তাহ করার কথাও ভাবছে সরকার।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে জানা যায়, করোনার বর্তমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে সরকার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আগের বছরের মতো ধাপে ধাপে বাড়তে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি।