অনেক ঝামেলার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কিস্টোন ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই প্রতিবেশী দেশ কানাডার সাথে বিরোধ এবং বৈরি আচরণ করেছেন। যার জন্য কানাডাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই নির্বাহী আদেশে যে সিদ্ধান্তগুলো রয়েছে তার মধ্যে কানাডার কিস্টোন পাইপ লাইনের অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্তও অন্যতম।কানাডাবাসী মনে করছে, এ সিদ্ধান্ত তুলে না নিলে দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরিতে বিরাট প্রভাব ফেলবে। আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন ক্যানি যুক্তরাষ্ট্র সরকারের তেল উৎপাদনের প্রক্রিয়ায় পাইপ লাইন সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে।
প্রিমিয়ার এক বিবৃতিতে পাইপ লাইনের অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার হিসেবে কানাডার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য আমেরিকার নতুন প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। মার্কিন সরকারের এই সিদ্ধান্ত জাস্টিন ট্রুডোর সংখ্যালঘু সরকারকে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে চাপের মধ্যে ফেলে দেবে। ইতিমধ্যে প্রধান বিরোধী দল সেই ঘোষণা দিয়েই ফেলেছে।
কানাডার আলবার্টার তেলক্ষেত্র থেকে অতিরিক্ত ৮৩০ হাজার ব্যারেল বিটুমিন যুক্তরাষ্ট্রের রিফাইনারিগুলোতে সরবরাহ করার জন্য এই পাইপ লাইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। ওবামা সরকার ক্ষমতায় এসে এই পাইপ লাইনের অনুমোদন বাতিল করে দেয়। পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৯ সালে এর অনুমোদন দেন। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ কিলোমিটার পাইপ বসানো হয়ে গেছে এবং আলবার্টা ও যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি রাজ্যে পাম্প বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জো বাইডেন তার নির্বাচনী ঘোষণায় এই পাইপ লাইনের অনুমোদন বাতিলের ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমেরিকায় কানাডার রাষ্ট্রদূত গত এক মাস ধরেই মার্কিন প্রশাসন এবং জো বাইডেনের ক্যাম্পেইন টিমের সঙ্গে দেন দরবার করছিলেন। কিন্তু তা শেষ পর্যন্ত ফলাফল শূন্য। এদিকে কানাডার প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা এবং আলবার্টার প্রিমিয়ারের বাইডনকে সমর্থন জানিয়ে জাস্টিন সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছে।