সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জর্ডানে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। ওয়াশিংটনের প্রস্তাবে তারা এ অনুমোদন দেয়। যদি মার্কিন কংগ্রেসে কোনো বাধার সম্মুখীন না হয় তাহলে এ চুক্তি চূড়ান্তভাবে কার্যকর হবে। শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরানের সঙ্গে যখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে ও মধ্যপ্রাচ্যর দেশগুলোতে হুথিদের আক্রমণ বাড়ছে তখনই অস্ত্র বিক্রির ঘোষণা এলো যুক্তরাষ্ট্র থেকে। সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদির বিভিন্ন বিমানবন্দর ও স্থাপনা লক্ষ্য করে ড্রোন-ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মধ্যপ্রাচ্যর মিত্রদের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে সামরিক সহায়তা দেওয়া হবে। বিশেষ করে সৌদি আরব ও আমিরাতকে।
তবে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানান, ইয়েমেনে হামলায় ব্যবহার হয় এমন অস্ত্র সহায়তা সৌদি জোটকে দেওয়া হবে না।
তবে সে অঙ্গীকার ভঙ্গ করে সৌদির কাছে নভেম্বরে ৬৫ কোটি ডলারের আকাশ থেকে আকাশে নিক্ষেপযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির অনুমোদনের দেওয়া হয়। তখন এর নিন্দা জানান মার্কিন আইন প্রণেতারা।
পেন্টাগন জানায়, সম্প্রতি সৌদির কাছে প্রায় দুই কোটি ৪০ লাখ ডলারে ৩১টি যোগাযোগ ও নেভিগেশন টার্মিনাল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়। সৌদির ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থাকে উন্নত করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পররাষ্ট্র দপ্তর সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ছয় কোটি ৫০ লাখ ডলারের হোমিং অল দ্য ওয়ে কিলার ( এইচএডব্লিউকে), ফেজড অ্যারে ট্র্যাকিং রাডার, টার্মিনাল হাই অল্টিটিউড এরিয়া ডিফেন্স ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কেনার অনুমোদন দিয়েছে।
তাছাড়া জর্ডানের কাছে যুদ্ধ বিমান, রেডিও টার্গেটিং পড ও গাইডেড মিসাইল টেইল কিট বিক্রিরও অনুমোদন দিয়েছে মার্কিন এই প্রভাবশালী দপ্তরটি।