করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃত্যুর সংখ্যা ৯ লাখ পেরিয়ে গেছে।
শুক্রবার দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারী দুঃখজনক এ নতুন মাইলফলকে পৌঁছায়। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনাভাইরাস ট্র্যাকারের তথ্য অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮ লাখ ছাড়িয়েছিল দেশটিতে। মাত্র দেড় মাসের মধ্যে মোট মৃতের সংখ্যা বাড়ল প্রায় ১ লাখ ২৫ হাজার।
করোনার সবচেয়ে সংক্রামক ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো যুক্তরাষ্ট্রেও প্রতিদিনই বাড়ছে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, মূল করোনাভাইরাসের চেয়ে অন্তত ৭০ গুণ বেশি সংক্রামক হলেও ওমিক্রন ভাইরাসটি ডেল্টা বা অন্যান্য রূপান্তরিত ধরনগুলোর মতো প্রাণঘাতী নয়।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের কোভিড পরিসংখ্যান সে কথা বলছে না। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় দৈনিক মৃত্যুর হার এখনো উর্ধ্বগামী এবং কোভিডজনিত অসুস্থতায় গড়ে প্রতিদিন সেখানে মৃত্যু হচ্ছে ২ হাজার ৪০০ জনের।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ গবেষণা, নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ সংস্থা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের পরিচালক রশেলে ওয়ালেনস্কি শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সম্পর্কে বলেন, ‘দেশে এখনো করোনায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার অনেক বেশি। প্রতিদিনই রোগীর চাপ বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যে কিছু অঞ্চলের হাসপাতালসমূহ আর নতুন রোগী ভর্তি করার মতো অবস্থায় নেই।’
এ পর্যন্ত করোনায় যাদের মৃত্যু হয়েছে- তাদের সবাই রোগটিতে আক্রান্ত হওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর মারা গেছেন। এ কারণে সংক্রমণের উর্ধ্বগতির তথ্য যেমন দ্রুত পাওয়া যায়, সেই তুলনায় এ রোগে মৃতের হার বাড়ছে কি না— জানতে কিছু সময় লাগে।
যুক্তরাষ্ট্রে যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছে, তার প্রধান কারণ টিকা গ্রহণের বিষয়ে মার্কিন জনগণের উদাসীনতা। বিশ্বের সবচেয়ে কার্যকর করোনা টিকাগুলো ব্যাপকভাবে সহজলভ্য হওয়া সত্ত্বেও দেশটির মোট জনসংখ্যার মাত্র ৬৪ শতাংশ টিকার দুই ডোজ সম্পূর্ণ করেছেন।