গেল বছর ব্রাজিলের মাটিতে তাদের হারিয়ে ২৮ বছরের শিরোপাখরা কাটিয়েছিল আর্জেন্টিনা, জিতেছিল কোপা আমেরিকা। তার বছর না ঘুরতেই আরও একটা কোপা আমেরিকার দুয়ারে আলবিসেলেস্তেরা। ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে ২-১ গোলে হারিয়েছে দলটি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এই জয়ে আকাশি সাদারা পৌঁছে গেছে কোপা আমেরিকা ফুটসালের ফাইনালে, শিরোপা থেকে হাত ছোঁয়া দূরত্বে।
দিনটা গোলরক্ষক নিকলাস সারমিয়েন্তোরই ছিল। দলের টাইব্রেকার নায়ক বনে গিয়েছিলেন তিনি, এর আগে ম্যাচেও ঠেকিয়ে দিয়েছেন ব্রাজিলের একগাদা শট। দ্বিতীয় মিনিটে ব্রাজিলের প্রথম আক্রমণটা ভেস্তে দেন তিনিই।
এর মিনিট পাঁচেক পরই এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। বক্সের বাইরে থেকে করা শট বক্সের ভেতর একজনের গায়ে লেগে দিক বদলে ঢুকে যায় ব্রাজিলের জালে।
তবে ১-০ গোলের লিড অবশ্য খুব বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি আর্জেন্টিনা। এর তিন মিনিট পরই সমতা ফেরায় ব্রাজিল। পেনাল্টি থেকে গোলটি করেন রেসিয়া। প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-১ সমতায় থেকেই।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচের ২৭ মিনিটে ব্রাজিল পায় গোল। আর্জেন্টিনার জালে বলটি জড়ান ম্যাথেউস।
দুই মিনিট পরই জবাব দেয় আর্জেন্টিনা। দলগত চেষ্টার পর লক্ষ্যভেদ করেন ক্লদিনিও। ২-২ সমতা ফেরে ম্যাচে।
৩৪ মিনিটে আবারও লিড নেয় আলবিসেলেস্তেরা। লিয়ান্দ্রো কুজোলিনোর গোলে এগিয়ে যায় দলটি। এর একটু পরেই অবশ্য ব্রাজিল সমতা ফেরায় ম্যাচে। কর্নার থেকে গোলটি করেন মার্সেনিও।
৩-৩ সমতায় থেকে শেষ হয় ৪০ মিনিটের নির্ধারিত সময়। এরপর যোগ করা সময়েও আর গোলের দেখা মেলেনি এই লড়াইয়ে।
ফলে খেলা গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দুই দলই নিজেদের প্রথম পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়।
এরপর সেরমিয়েন্তো ব্রাজিলের দ্বিতীয় শটটাও ঠেকিয়ে দেন। নিজেদের দ্বিতীয় শটে গোল করে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা। তৃতীয় শটে অবশ্য ব্রাজিল আর্জেন্টিনা দুই দলই গোল করে।
তবে দুই দলই নিজেদের চতুর্থ শট মিস করে বসে। তাই টাইব্রেকার শেষে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে ব্রাজিলকে হারিয়ে দেয় আর্জেন্টিনা। পৌঁছে যায় ফাইনালে।