আগামীকাল সপ্তম ও শেষ ধাপে ১৩৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে কেন্দ্রে কেন্দ্র পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম।
সারা দেশে ১৩৭টি ইউপির মধ্যে ৬টি ইউনিয়নে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার সকাল থেকে ৭৮টি ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনি সামগ্রী পাঠানো শুরু হয়েছে। ভোটের দিন সকাল ৮টার আগেই ব্যালট পেপার পৌঁছে দেয়া হবে। এর আগে, বসুরহাট সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে নির্বাচনি দায়িত্বে নিয়োজিত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ব্রিফিং করেন জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম। এ সময় তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য ইতোমধ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালীর বাউফল ও রাঙ্গাবালী উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল। দুপুর থেকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে ইভিএম মেশিনসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার লক্ষে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
চুয়াডাঙ্গা সদরের তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুপুর থেকে ভোটকেন্দ্রগুলোতে পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি সরঞ্জাম। ১০টি কেন্দ্রের ৫০টি বুথের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
কুমিল্লায় বুড়িচং ও দেবিদ্বার উপজেলার ২৪টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নির্বাচনি সরঞ্জাম পৌঁছে যাচ্ছে কেন্দ্রে কেন্দ্রে। প্রতিটি উপজেলা সদর থেকে জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ব্যালট বাক্স এবং নির্ধারিত কেন্দ্র নিরাপত্তা সদস্যদের পাঠানো হচ্ছে নির্বাচনি এলাকায়।
ঠাকুরগাঁওয়ে বড়গাঁও ও সেনুয়া ইউনিয়নে ১৮ টি ভোট কেন্দ্রের পাঠানো হয়েছে বাক্স ও ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম। দুপুর থেকেই কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে নির্বাচনী সরঞ্জাম পাঠানো হয়। দুই ইউনিয়নেই ব্যালটের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ হবে। এছাড়া চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, ময়মনসিংহ, রংপুর, জয়পুরহাট, সিরাজগঞ্জ, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, ঝিনাইদহ, কুমিল্লা, নীলফামারীসহ ২০টি জেলার মোট ১৩৭টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সোমবার।
এর আগে, প্রথম ধাপে গত বছরের ২১শে জুন ২০৪টি ইউনিয়নে এবং ২০শে সেপ্টেম্বর ১৬০টি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর গেল ১১ই নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে মোট ৮৩৩টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ হয়। ২৮শে নভেম্বর তৃতীয় ধাপে আরও ১ হাজার ৪টি ইউপি এবং ২৬শে ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ৮৩৬টি ইউপিতে ভোট হয়।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ৫ই জানুয়ারি পঞ্চম ধাপে মোট ৭০৭টি ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে এবং সবশেষ গেল ৩১শে জানুয়ারি ষষ্ঠ ধাপে ২১৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।