মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জনি বলেন, বরিশাল সিটির ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহাগ হাওলাদার বুধবার দুপুরে মিজানুর রহমানের কাছে পাওনা টাকা চাইতে যান। এ সময় সোহাগকে তুলে নিয়ে ফরচুন কারখানায় আটকে রেখে মারধর করা হয়। পরে তাকে মিথ্যা অভিযোগে থানায় দেয় তারা।
পরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা করতে চায়। কিন্তু পুলিশ মামলা নিতে না চাইলে সন্ধ্যার পরে নেতাকর্মীরা থানা ঘেরাও করে। বন্ধ করে দেয় অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লা রুটের বাস এবং ঢাকাগামী লঞ্চ চলাচল।
পুলিশ আসামিদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে রাত সাড়ে ১০টা থেকে বাস ও লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়।তবে ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের অভিযোগ, সোহাগ তার কারখানার এক নারী শ্রমিককে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এ কারণে তাকে ধরে পুলিশে দেন তারা।
এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জাহিদুল।এদিকে পুলিশ থানা ঘেরাওয়ের কথা অস্বীকার করেছে।পুলিশ কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, মারধরের ঘটনায় সোহাগ হাওলাদার বাদী হয়ে মিজানুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সোহাগের বিরুদ্ধে কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সৌজন্যে : বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম