পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দেওয়ার মধ্যেই পোল্যান্ডে নতুন করে ৩ হাজার সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিকে ইউক্রেন সীমান্তে মস্কোর ১ লাখের বেশি সেনা সমাবেশ এবং যে কোনো মুহুর্তে যুদ্ধের আশঙ্কায় কিয়েভে অবস্থানকরা নিজ নাগরিকদের দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে আরও ৬টি দেশ।
শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের চার কর্মকর্তাকে উদ্ধৃতি দিয়ে রয়টার্স জানায়, নর্থ ক্যারোলিনায় অবস্থিত ফোর্ট ব্রাগ সামরিক ঘাঁটি থেকে ৮২ এয়ারবোন ডিভিশনের সেনাদের পোল্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে। সব ঠিক থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই তাদের পোল্যান্ডে মোতায়েন করা হবে।
মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, মূলত ন্যাটো সেনাদের সাহায্য করতেই তাদের সেখানে পাঠানো হচ্ছে।
ইউক্রেন পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করায় যুক্তরাষ্ট্রের পর যুক্তরাজ্য, লাটভিয়া, নরওয়ে, ইসরায়েল, জাপান ও এস্তোনিয়া নিজ দেশের নাগরিকদের যতো দ্রুত সম্ভব দেশে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছে।
এ ছাড়া কূটনৈতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর।
অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আশা করছি প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে টেলিফোনে আলোচনা করবেন। তবে আমি এ বিষয়ে এ মুহূর্তে এর বেশি কিছুই বলতে চাচ্ছি না।’
তবে তিনি আরও বলেন, ‘যদি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তবে সেটি শুরু হবে বিমান হামলার মাধ্যমে।’ এ সময় তিনি মার্কিন নাগরিকদের ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার কথা বলেন।
গত কয়েক মাস ধরেই ইউক্রেন ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। মস্কো ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপে দেশটির সীমান্তে এক লাখ সেনা, ক্ষেপণাস্ত্র ও ভারী গোলাবারুদ মোতায়েন করেছে বলে দাবি করে আসছে পশ্চিমারা। পশ্চিমা সমর্থিত জোটের সামরিক বিশেষজ্ঞরা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর গতিবিধি চুলচেরা বিশ্লেষণ করে চলেছেন। তবে মস্কো প্রথম থেকেই দাবি করেছে তাদের ইউক্রেন আক্রমণের কোনো পরিকল্পনা নেই।
খবর আল-জাজিরা