এবার সময়টা ভিন্ন। শীত এবার একটু দীর্ঘ। তবে শীতের মৌনতা ভেঙে বাংলার প্রকৃতিতে নতুন রূপ নিয়ে এসেছে বসন্ত।প্রতি বছর ফেব্রুয়ারির এই সময়ে বাতাস বদলে যেতে থাকে। শুষ্ক-রুক্ষতা দেখা যায় গাছে, পাতায়, ঘাসে।প্রতিবছর জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষৎ-এর আয়োজনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুল তলা, রবীন্দ্র সরোবর, রমনাসহ বিভিন্ন জায়গায় বসন্তবরণ অনুষ্ঠান করা হলেও মহামারির কারণে এবার শুধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চেই কেন্দ্রীয়ভাবে উদযাপন হচ্ছে দিবসটি।
দিনটিকে ঘিরে বসন্তের সাজে সেজেছে সবাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির চত্বরে, টিএসসি সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রবেশপথে বসেছে অস্থায়ী ফুলের দোকান।উল্লেখ্য, ১৫৮৫ সালে সম্রাট আকবর বাংলা বর্ষপঞ্জি হিসেবে আকবরি সন বা ফসলি সনের প্রবর্তন করেন। তিনি প্রতি বছর ১৪টি উৎসব পালনের রীতিও প্রবর্তন করেন। এর মধ্যে অন্যতম বসন্ত উৎসব।১৯০৭ সালে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছোট ছেলে শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাত ধরে শান্তিনিকেতনে যাত্রা শুরু করে বসন্ত উৎসব, যা ‘ঋতুরঙ্গ উৎসব’ নামেই পরিচিত।