হেনরি নিকলসের সেঞ্চুরি ও টস বান্ডলের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম ইনিংসে রান পাহাড়ে উঠেছে নিউ জিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। যে কারণে দলটি পড়েছে ইনিংস হারের শঙ্কায়।
নিজেদের প্রথম ইনিংসে শুক্রবার নিউ জিল্যান্ড সবকটি উইকেট হারিয়ে তুলেছে ৪৮২ রান। এরফলে দলটি লিড পেয়েছে ৩৮৭ রান। দলটির হয়ে নিকলস করেন ১০৫ রান। এদিকে টম বান্ডেলের ব্যাট থেকে আসে ৯৬ রান। এছাড়া নীল ওয়াগনার করেন ৪৯ ও কলিন ডি গ্রান্ডহোম করেন ৪৫ রান। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৯৫ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।
৩৮৭ রান পেছনে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুক্রবার শেষ বিকেলে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। দলটি ৩৪ রান তুলতেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়েছে। যে কারণে তারা পড়েছে ইনিংস হারের শঙ্কায়।
শুক্রবার ৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। পরে রাসি ভার ডার ডুসেন ও টেম্বা বাভুমা জুটি ৩০ রান করে অপরাজিত থেকে দিন শেষ করেছেন। তারপরও প্রোটিয়া নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে পেছনে ৩৫৩ রান। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি ২টি ও ম্যাট হেনরি নেন ১টি উইকেট।
এরআগে ৩ উইকেটে ১১৬ রান নিয়ে খেলতে নেমে দারুণ শুরু করে হেনরি নিকলস ও নাইটওয়াচ ম্যান নীল ওয়াগনার। শেষ পর্যন্ত তাদের জুটি ভাঙে ৮০ রানে। ওয়াগনার ৪৯ রান করে ফেরেন রাবাদার বলে। এরপর নিকলসকে দারুণ সঙ্গ দেন ডায়েল মিশেল। তারা পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৪৮ রান। এরপরই ফেরেন মিশেল। তবে নিকলস আর টম বান্ডেল খেলেন দারুণ। তারা জুটিতে যোগ করেন ৪৫ রান। এরমধ্যে সেঞ্চুরি হাঁকান নিকলস। তবে নিজের ইনিংস আর তিনি বড় করতে পারেননি। ফিরে যান ১০৫ রান করে ওলিভিয়ার বলে।
নিকলস ফিরলেও নিউ জিল্যান্ডের রান তোলায় ভাটা পড়তে দেননি কলিন ডি গ্রান্ডহোম ও বান্ডেল। তারা অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাট চালান। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৪ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন বান্ডেল আর ৫ রানের জন্য গ্রান্ডহোম মিস করেন হাফসেঞ্চুরি। তবে ঠিকই নিউ জিল্যান্ডকে তারা এনে দেন বড় রানের লিড। যে কারণে এখন ইনিংস ব্যবধানে জয়ের স্বপ্ন বুনছে স্বাগতিকরা।