সম্ভাব্য বিজয়ী নিয়ে ছিল নানা মুনির নানা মত। তবে ফাইনালের ফল যাই হোক না কেন, ধরে নেয়া হচ্ছিল সাকিবই হচ্ছেন আসর সেরা পারফরমার। আর শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। চতুর্থবারের মতো টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমারের পুরস্কার জিতে নিলেন সাকিব আল হাসান।
আসর সেরা পারফরমারের পুরস্কার অর্থ্যাৎ ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্টের প্রায় একক দাবিদার ছিলেন সাকিব আল হাসান। সাকিবকেই টুর্নামেন্টের সেরা হিসেবে অটো চয়েজ বলে ধরে রেখেছিলেন প্রায় সবাই।
কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, সাকিব তো সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী নন। এমনকি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারীও নন। তবে আজ ফাইনালে লিটন দাসকে বোল্ড করা সাকিবের মোট উইকেট হলো ১৬টি। আর কোয়ালিফায়ার পর্যন্ত করা ২৭৭ রানের সঙ্গে আজ ফাইনালের ৭ রান যোগ করায় মোট সংগ্রহ দাড়ালো ২৮৪ রান।
সব মিলিয়ে দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স। এর ধারে-কাছেও নেই আর কোনো ক্রিকেটার। ব্যাট এবং বলের এমন দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরমেন্স দিয়েই সাকিব নিজ দল বরিশালকে টেনে তুলেছেন ফাইনালে।
ফাইনালেও শুরুতে সুনিল নারিনের বেধড়ক মারের তোড়ে সুবিধা করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত ৩০ রানে এক উইকেট শিকারী সাকিব।
ইতিহাস জানাচ্ছে সাকিব হলেন একমাত্র পারফরমার, যার ছিল আরও তিনবার বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার অনন্য রেকর্ড। প্রথম দুই আসরেই টানা বিপিএল সেরা হয়েছিলেন সাকিব। প্রথমবার তার দল খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস সেমিফাইনলে বিদায় নিলেও ২৮০ রান এবং ১৫ উইকেট দখল করে তিনি হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা।
এরপর ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে আবারো টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমারের পুরস্কার জেতেন সাকিব। সেবার তিনি ৩২৯ রানের পাশাপাশি উইকেট নিয়েছিলেন ১৫টি। এরপর আরও একবার সাকিবের হাতেই ওঠে আসর সেরার পুরস্কার। সেটা ছিল গতবারের আগেরবার। সেবার ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ৩০১ রান করার পাশাপাশি ২৩ উইকেট দখল করে সেরা পারফরমার হয়েছিলেন সাকিব। আর এবার নিয়ে হলেন চতুর্থবার।
বিপিএলের টুর্নামেন্ট সেরা পারফরমার হয়েছেন যারা
১. সাকিব আল হাসান (খুলনা রয়্যাল বেঙ্গলস, ২৮০ রান ও ১৫ উইকেট)।
২. সাকিব আল হাসান (ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্স, ৩২৯ রান ও ১৫ উইকেট)।
৩. আসহার জাইদি (কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স, ২১৫ রান ও ১৭ উইকেট)।
৪. মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (খুলনা টাইটান্স, ৩৯৬ রান ও ১০ উইকেট)।
৫. ক্রিস গেইল (রংপুর রাইডার্স, ৪৮৫ রান)।
৬. সাকিব আল হাসান (ঢাকা ডায়নামাইটস, ৩০১ রান ও ২৩ উইকেট)।
৭. আন্দ্রে রাসেল (রাজশাহী রয়্যালস, ২২৫ রান ও ১৪ উইকেট)।