একজন হুইসেল ব্লয়ার বা তথ্য ফাঁসকারী ব্যাংকটির এসব তথ্য ফাঁস করেছেন। তিনি ১৮ হাজারেরও বেশি হিসাব-সম্পর্কিত তথ্য Süddeutsche Zeitung নামের এক জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দিয়েছেন। জার্মান সংবাদপত্রটি এই তথ্য সাংবাদিকতা বিষয়ক অলাভজনক প্রতিষ্ঠান অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রোজেক্টসহ আরও ৪৬টি সংবাদমাধ্যমকে দেয়।
সুইজারল্যান্ডের বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের ১৮ হাজার অ্যাকাউন্টের তথ্য ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া অ্যাকাউন্টে সম্পদের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলারেরও বেশি। এ অ্যাকাউন্টগুলো খোলা হয়েছে ১৯৪০ থেকে ২০১০ এর দশকের মধ্যে।
বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার লঙ্ঘনে অভিযুক্তরাও রয়েছেন অর্থ পাচারকারীর তালিকায়। সুইস ব্যাংকটিতে গোপনে অর্থ-সম্পদ জমাকারী ব্যক্তিদের তালিকায় উল্লেখযোগ্য সংখ্যক দেশের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের নাম রয়েছে। এর মধ্যে আছেন পাকিস্তানের শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) সাবেক প্রধান, ইয়েমেনের গোয়েন্দা প্রধান, জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ, মিসরের সাবেক একনায়ক প্রয়াত হোসনি মুবারকের দুই ছেলে।
বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনৈতিক পন্থা অবলম্বন ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভূ-কৌশলগত ভূমিকা কাজে লাগিয়ে সুইস ব্যাংকে অর্থ জমিয়েছিলেন।
তথ্য ফাঁসের বিষয়ে ক্রেডিট সুইস রবিবার ৪০০ শব্দের বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফাঁস হওয়া অ্যাকাউন্টগুলো অনেক পুরনো। মিডিয়ার তদন্ত শুরুর আগে এর ৯০ ভাগ অ্যাকাউন্ট বন্ধ বা বন্ধের পথে ছিল। বাকি ১০ ভাগ অ্যাকাউন্টের বিষয়ে যাছাই করা হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত গ্রাহক নিয়ে তারা কোনো মন্তব্য করতে চায় না। কারণ অযাচিত গ্রাহকের বিষয়ে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।