ঘরের মাঠে রীতিমতো গোল উৎসবে মাতলো শিরোপার দৌড়ে থাকা লিভারপুল। আক্রমণের পর আক্রমণে লিডস ইউনাইটেডকে দিশেহারা করে ছাড়লেন মোহামেদ সালাহ-সাদিও মানেরা। অ্যানফিল্ডে বুধবার রাতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে ৬-০ গোলের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লিভারপুল।
ম্যাচের চতুর্থ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারত লিভারপুল। তবে বাঁধ সাধে দুর্ভাগ্য। ডি-বক্সে দুই জনের বাধা এড়িয়ে লুইস দিয়াসের কোনাকুনি শট সামনে তারই সতীর্থ মানের শরীরে লাগে। দুই মিনিট পর আলিসনের ভুলে বিপদে পড়তে যাচ্ছিল লিভারপুল। সতীর্থের ব্যাকপাস ধরে শট নিতে গিয়ে পিছলে যান ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক। জায়গামতোই ছিলেন লিডস ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল জেমস। কিন্তু তিনি পারেননি বল নিয়ন্ত্রণে নিতে।
চাপ ধরে রেখে ১৫ মিনিটে সফল স্পট কিকে দলকে এগিয়ে নেন সালাহ। ডি-বক্সে সফরকারীদের ডিফেন্ডার স্টুয়ার্ট ডালাসের হাতে বল লাগলে পেনাল্টিটি পায় লিভারপুল। ৩০তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মাতিপ। ডান দিক থেকে সালাহর পাস ছয় গজ বক্সের মুখে পেয়ে প্রথম ছোঁয়ায় ডান পায়ের উঁচু শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন ক্যামেরুনের এই সেন্টার-ব্যাক।
পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নিয়ন্ত্রণ নেয় লিভারপুল। ডি-বক্সে মানে ফাউলের শিকার হলে আবারও পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। নিখুঁত স্পট কিকে আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতা সালাহ নিজের ১৯তম গোলটি করেন।
প্রথমার্ধের শেষ পাঁচ মিনিটে আরও দুটি দারুণ সুযোগ নষ্ট হয় লিভারপুলের। ফাবিনিয়োর কাছ থেকে প্রচেষ্টা অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। খানিক পর সালাহর শট গোললাইন থেকে ফেরান ডিফেন্ডার জুনিয়র ফিরপো।
প্রথম ৬৩ মিনিটে একচেটিয়া আক্রমণ করে লিভারপুল গোলের উদ্দেশ্যে মোট ১৬টি শট নেয়, যার ৯টি ছিল লক্ষ্যে। ঘর সামলাতে ব্যস্ত লিডস পরের মিনিটে গিয়ে প্রথম শট নিতে পারে। তাতে প্রতিপক্ষকে যদিও ভাবাতে পারেনি তারা। ৮০তম মিনিটে ডান দিক থেকে জর্ডান হেন্ডারসনের পাস ডি-বক্সে ফাঁকায় পেয়ে জোরাল শটে ব্যবধান আরও বাড়ান মানে। নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন সেনেগাল এই ফরোয়ার্ড।
আর যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে হেডে লিডসের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন ডাচ ডিফেন্ডার ফন ডাইক।
২৬ ম্যাচে ১৮ জয় ও ৬ ড্রয়ে লিভারপুলের পয়েন্ট হলো ৬০। শীর্ষে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৬৩। এক ম্যাচ কম খেলা চেলসি ৫০ পয়েন্ট নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। ২৬ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।