1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ-ভারত বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা, আগরতলায় চলচ্চিত্র উৎসবে তথ্যমন্ত্রী

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের বন্ধন রক্তের অক্ষরে লেখা। মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান বাংলাদেশ কখনো ভুলবে না এবং তা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলায় পলো টাওয়ার্স হোটেলে দ্বিতীয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। 

এ সময় ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দুই দেশের সম্পর্ক এখন অনন্য উচ্চতায়’ উল্লেখ করেন তিনি।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত এ উৎসব উদ্বোধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে।

এছাড়া ত্রিপুরার তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী, বাংলাদেশের মমতাজ বেগম এমপি, সাইমুম সারওয়ার কমল এমপি, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মো. মকবুল হোসেন, ভারতে বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার নুরাল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সফরসঙ্গী চিত্রতারকা ফেরদৌস, অপু বিশ্বাস ও সংগীতশিল্পী ফকির শাহাবুদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

তথ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালে বাংলাদেশের এককোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছিলো এবং বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে পাকিস্তান সরকারের ফাঁসির আদেশের পর বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করার জন্য তৎকালীন ভারত সরকার পৃথিবীর দেশে দেশে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছিল। ভারতের এ অবদান আমরা কখনো ভুলতে পারবো না।

‘ত্রিপুরার মানুষ তাদের রাজ্য এবং মনের দুয়ার দুটিই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অবারিত করে দিয়েছিলেন এবং বাংলাদেশ থেকে আসা লাখ লাখ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছিলেন, যা তারা বোঝা মনে করেন নাই’ উল্লেখ করে ত্রিপুরার মানুষ এবং তৎকালীন রাজ্য সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, ত্রিপুরাকে নিয়ে আমার আবেগ ও উচ্ছ্বাস রয়েছে। আমরা দুই দেশের মানুষ হলেও আমাদের ভাষা এক, সংস্কৃতিরও মিল রয়েছে, আমরা একই পাখির কলতান শুনি।

ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দে বলেন, ‘বিশ্বে আজ বাংলাদেশের মানুষের বুক টান করে হাঁটে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ফলে দু’দেশের শত্রুরা কখনো সফল হতে  পারবে না।’

আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রীর জীবনভিত্তিক ‘শেখ হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয় এবং বাংলাদেশ থেকে আগত শিল্পীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি