কিয়েভে মিসাইল হামলা করে রাশিয়া বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এরপর দেশটির প্রেসিডেন্টও এই হামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেন।
সকালে পরপর পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে বলে গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে। বিস্ফোরণ শুরু হতেই কিয়েভজুড়ে বেজে ওঠে সাইরেন। আতঙ্কে রাজধানী শহর থেকে পালাতে শুরু করেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। শহরের রাস্তায় সারি সারি গাড়ি দেখা গেছে। এসব গাড়িতে করেই মানুষ কিয়েভ ছেড়ে পালাচ্ছে।
এদিকে, ইউক্রেনে একযোগে তিন দিক থেকে হামলা শুরু করেছে রাশিয়া- এমনটি দাবি করেছে ইউক্রেনের বর্ডার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ।
সংস্থাটির দাবি, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে বেলারুশ, রাশিয়া ও ক্রিমিয়া সীমান্ত এলাকা দিয়ে একযোগে হামলা শুরু করেছে রুশ সেনারা।”
ইউক্রেনের বর্ডার সার্ভিস জানিয়েছে, “লুহানস্ক, সুমি, খারকিভ, চেরনিহিভ ও ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চালানো হচ্ছে। এসব হামলায় ইউক্রেনের বর্ডার ইউনিট, বর্ডার টহল ও চেকপয়েন্টগুলোকে টার্গেট করা হচ্ছে। ব্যবহার করা হচ্ছে কামান, ভারী সরঞ্জাম এবং ছোট অস্ত্র।
স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোরে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস তথা ডোনেটস্ক ও লুহানস্কে সেনা অভিযানের ঘোষণা দেন। এরপরই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।
এরই মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ শোনা গেছে।
এছাড়া ডোনেটস্কের ক্রামাটস্কেও ভয়াবহ বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
এদিকে, সেনা অভিযানের ঘোষণা দিয়ে পুতিন ডনবাসে নিয়োজিত ইউক্রেনীয় সেনাদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়েছেন।
পুতিন বলেন, “আপনারা আপনাদের অস্ত্র সমর্পণ করুন এবং ঘরে ফিরে যান।”
সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ডনবাসে রক্তপাত হলে এর দায়ভার পুরোপুরি ইউক্রেন সরকারের।
তবে পুতিন বলেন, “ইউক্রেন দখল করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমরা নিজেদেরকে কারও ওপর চাপিয়ে দিতে চাই না।