আগে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ঝড় তুললেন রোহিত শর্মা ও ইশান কিশান। পরে ওই ঝড় বয়ে নিলেন শ্রেয়াস আয়ারও। তাতে বড় সংগ্রহ পেল ভারত। ওই লক্ষ্য টপকাতে নেমে পাল্লা দিতে পারল না শ্রীলঙ্কা। ৬২ রানের বড় জয়ে সিরিজ শুরু করল স্বাগতিকরা।
টস জিতে পিচ থেকে সুবিধা নিতে চেয়েছিলেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। কিন্তু প্রথম থেকেই এলোমেলো বোলিংয়ে হতাশ করেন সফরকারী বোলাররা।
ইশান কিশান ও রোহিত শর্মা ১১.৫ ওভারের ওপেনিং জুটিতেই তুলে নেন ১১১ রান। ইশান আগেই হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেছিলেন। সেই দিকে এগোচ্ছিলেন রোহিতও। কিন্তু লাহিরু কুমারার একটি বলের গতি বুঝতে না পেরে বোল্ড হয়ে ফেরেন ভারতীয় অধিনায়ক, ৩২ বলে করেন ৪৪।
তিনে নামা শ্রেয়াস আয়ার শুরু থেকেই লঙ্কান বোলারদের উপর চড়াও হন। ইশান তো সঙ্গে ছিলেনই। দ্বিতীয় উইকেটে তাদের জুটি থেকে আসে ৩১ বলে ৪৪।
ইশান ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটা পেয়ে যেতে পারতেন বৃহস্পতিবারই। কিন্তু দাসুন শানাকার বল পুল করতে গিয়ে মিডউইকেটে ধরা পড়েন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৫৬ বলে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৮৯ রানে ফিরতে হয় ইশানকে।
এরপরের ঝড়টা শ্রেয়াসের ব্যাটে। ২৫ বলেই হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করে ফেলেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজাকে সঙ্গে নিয়ে ১৮ বলে গড়েন ৪৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি।
মাত্র এক রানের জন্য ২০০ ছুঁতে পারেনি ভারত। ২ উইকেটে করে ১৯৯। আয়ার ২৮ বলে ৫ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। জাদেজা ছিলেন ৩ রানে।
জবাব দিতে নেমে লড়াইটাও করতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। ভুবনেশ্বর কুমারের প্রথম বলেই ফেরেন পাথুম নিশাঙ্কা। ৭ ওভারের মধ্যে ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে সফরকারীরা।
চারিথ আসালাঙ্কা একটা প্রান্ত ধরে রাখলেও কখনও রান তাড়ায় সম্ভাবনাও তৈরি করতে পারেনি লঙ্কানরা। আসালাঙ্কা ৪৭ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। ৬ উইকেটে ১৩৭ রানে থামে শ্রীলঙ্কা।
ভারতের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন ভুবনেশ্বর কুমার আর ভেঙ্কটেশ আয়ার।