দেশে আর লকডাউনের প্রয়োজন হবে না, জোর দেওয়া হবে টিকা কার্যক্রম ও মাস্ক পরায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ টিকা মজুত করা হয়েছে, যা বিশ্বের অনেক দেশ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
শুধু তাই নয়, বিনামূল্যে টিকা কার্যক্রমের পাশপাশি করোনার পরীক্ষা ও চিকিৎসায় নজির স্থাপন করেছে বর্তমান সরকার। যার সুফল ভোগ করছে দেশবাসী। করোনার সংক্রমণ নেমে এসেছে ৫ শতাংশের নিচে। ভবিষ্যতে আর লকডাউনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না।
শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে গণটিকা পরিদর্শনকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরতে হবে। মাস্ক না পরলে আবারও করোনার সংক্রমণ বেড়ে যেতে পারে। শুধু মাস্কই পারে করোনার সংক্রমণ কমানোর পাশপাশি ফুসফুসের নানা রোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করতে। এ ছাড়া মাস্ক পরলে অন্য ভাইরাস থেকেও মানুষ মুক্ত থাকবে। তাই লকডাউন না দিয়ে মানুষকে মাস্ক পরার প্রতি আগ্রহী করে তুলতে হবে।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মন্ত্রী জেলা সার্কিট হাউসে পৌঁছালে পুলিশের একটি দল তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। পরে শহরের স্টেডিয়াম মাঠে গণটিকা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান, সিভিল সার্জন জাওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী, মেহেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক রফিকুল ইসলামসহ রাজনৈতিক নেতারা।
এদিকে সকাল থেকে জেলার টিকা কেন্দ্রগুলোয় জড়ো হন প্রচুর মানুষ। বিভিন্ন বয়সের মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে বলে জানায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।