প্রথমার্ধে বিবর্ণ ম্যানচেস্টার সিটি ঘুরে দাঁড়াল বিরতির পর। কিন্তু এভারটন গোলরক্ষকের বাধা পেরোতে পারছিল না তারা। শেষ দিকে অবশ্য তাদের আর আটকে রাখতে পারলেন না জর্ডান পিকফোর্ড। লিগ টেবিলে লিভারপুলের সঙ্গে ব্যবধান আবার বাড়িয়ে নিল পেপ গার্দিওলার দল। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ১-০ গোলে জিতেছে শিরোপাধারী সিটি।
প্রথমার্ধে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দলই। ২৯তম মিনিটে লক্ষ্যে ম্যাচের প্রথম শট নিতে পারে সিটি। কেভিন ডে ব্রুইনের প্রচেষ্টা সহজেই ঠেকান পিকফোর্ড। ৩৫তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান এভারটনের রিশার্লিশন। কাছ থেকে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডের শট ঠেকাতে তেমন সমস্যা হয়নি তার স্বদেশি গোলরক্ষক এরেসনের। বিরতির আগে স্বাগতিক ফরোয়ার্ড গর্ডনের ফ্রি-কিকে পাশের জালে লাগে বল।
৫৫তম মিনিটে সুযোগ আসে সিটির ফোডেনের সামনে। ইংলিশ মিডফিল্ডারের জোরাল শট ফিরিয়ে দেন পিকফোর্ড। ৬৪তম মিনিটে জন স্টোন্সের দূর থেকে নেওয়া শটে বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান তিনি।
তিন মিনিট পর দুর্দান্ত ডাবল সেভে জাল অক্ষত রাখেন পিকফোর্ড। ডে ব্রুইনের নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকানোর পর কাছ থেকে বের্নার্দো সিলভার প্রচেষ্টা হাত বাড়িয়ে ফিরিয়ে দেন এই ইংলিশ গোলরক্ষক।
অবশেষে ৮২তম মিনিটে ‘ডেডলক’ ভাঙেন ফোডেন। বাঁ দিক থেকে সিলভার পাসে বল এভারটনের ডিফেন্ডার ম্যাসন হোলগেটের পায়ে লেগে পেয়ে যান ইংলিশ মিডফিল্ডার। কাছ থেকে বাকিটা সারেন তিনি।
নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে সিটির ডি-বক্সে রদ্রির হাতের ওপরের দিকে বল লাগলে পেনাল্টির আবেদন করেন এভারটনের খেলোয়াড়রা। ভিএআরে অবশ্য স্পট কিকের সিদ্ধান্ত মেলেনি।
২৭ ম্যাচে ২১ জয় ও ৩ ড্রয়ে ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট হলো ৬৬। এক ম্যাচ কম খেলে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। ২৫ ম্যাচে ৫০ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে চেলসি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ২৭ ম্যাচে ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে। পাঁচ নম্বরে আর্সেনালের ২৪ ম্যাচে ৪৫ পয়েন্ট।