ইউক্রেনে তিন দিক দিয়ে সামরিক অভিযান জোরদার করেছে রাশিয়া। কিয়েভসহ কয়েকটি শহরে হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী।
গুরুত্বপূর্ণ খারসন শহর দখলে নেওয়ার দাবি করেছে মস্কো। এদিকে, ইউক্রেন অভিযানে প্রথমবারের মতো নিজেদের সেনা হতাহতের খতিয়ান দিয়েছে ক্রেমলিন। যদিও, রুশ সরকারি তথ্যের কয়েকগুণ বেশি সেনা হতাহত হয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের। চলমান অভিযানে প্রাণ বাঁচাতে ইউক্রেন থেকে পালিয়েছে ১০ লাখ মানুষ।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি শহরে হামলা চালায় রুশ বাহিনী। দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মারিওপোল এবং উত্তরাঞ্চলের চেরনিহিভ শহরে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
একজন নাগরিক বলেন, খুব ভোরে রুশ বাহিনী এখানে পৌঁছায়। ইউক্রেন নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিরোধের চেষ্টা চালালে হামলা শুরু করে রাশিয়ার সেনারা। এরপর আবাসিক এলাকা, সুপার মার্কেট সব জায়গায় তারা হামলা চালায়।
এদিন ইউক্রেনে তিন দিক দিয়ে জোরাল করা হয়েছে রুশ সামরিক অভিযান। রাজধানী কিয়েভ থেকে লোকদের নিরাপদে সরে যেতে সতর্ক করেছে রুশ বাহিনী। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ খারসন শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করেছে মস্কো।
ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে রাশিয়ার কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সামরিক বহর। যদিও মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, গত দুইদিনে খুব বেশি এগোতে পারেনি সামরিক বহরটি। পেন্টাগনের দাবি, ইউক্রেনের যোদ্ধাদের কঠোর প্রতিরোধে অনেকটা পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন রুশ সেনারা। এ অবস্থায় মস্কোর সেনা দল নিজেদের মধ্যে অদল বদল করে পুনরায় একত্রিত হয়ে নতুন কৌশল গ্রহণ করছে বলেও দাবি পেন্টাগনের।
এরমধ্যেই, চলমান অভিযানে নিজেদের সেনা হতাহতের খতিয়ান প্রকাশ করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। এখন পর্যন্ত দেশটির প্রায় পাঁচশ’ সেনা নিহতের পাশপাশি আহত হয়েছে দেড় হাজারের বেশি। যদিও ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের প্রতিরোধে অন্তত ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে।