বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রয়োজনের তুলনায় দেশে অনেক বেশি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ আছে। পণ্যের ঘাটতি নেই, অথচ কৃত্রিম উপায়ে পণ্যের সংকট সৃষ্টি করে মূল্যবৃদ্ধির চেষ্টা করা হলে বা যেকোনো পণ্যের অবৈধ মজুদ করা হলে মজুদকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কোনো অসাধু ব্যবসায়ীকে সুযোগ নিতে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ, আমদানি, মূল্য পরিস্থিতি স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে আয়োজিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশী বলেন, আগামী মে মাসের পর সয়াবিন তেল এবং ডিসেম্বর মাসের পর পামওয়েল খোলা বিক্রয় বন্ধ এবং সব ভোজ্য তেল বোতল বা প্যাকেটজাত করার পাশাপাশি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় নিশ্চিত করা হবে। নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রয় করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি জানান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং পাঠ প্রশাসন বাজার মনিটরিং জোরদার করেছে। যৌক্তিক মূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া উৎপাদনকারী এবং ভোক্তার স্বার্থ রক্ষায় সব কিছু করা হবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মজুদ, সরবরাহ এবং মূল্য স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
টিপু মুনশি বলেন, সরকার কার্ড বিতরণ করে টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে এক কোটি মানুষের কাছে সাশ্রয়ী মূল্যে চিনি, ভোজ্য তেল, মসুর ডাল, পেঁয়াজ, ছোলা বিক্রয় করবে। এতে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ উপকৃত হবে। আমদানীকৃত পণ্য যাতে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে যৌক্তিক মূলে বিক্রয় করা হয়, তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। তবে ভোক্তাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকেও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। মানুষকে সতর্ক ও সচেতন করতে দেশের প্রচারমাধ্যমগুলোকেও দায়িত্ব পালন করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে এ সভায় বাংলাদেশ কম্পিটিশন কমিশনের চেয়ারপারসন মো. মফিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান (সচিব) মো. আফজাল হোসেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক, এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট জসিম উদ্দিন, টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রি. জে. মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আইআইটি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শাহ নেওয়াজ তালুকদার, এসবির ডিআইজি এ জেড এম নাফিউল ইসলাম, ক্যাব প্রকাশিত ভোক্তা কণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, শিল্প মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবির প্রতিনিধিবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন।