রাজধানীতে ঋণ দেওয়ার নামে ভুয়া কোম্পানি খুলে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. শহিদুল ইসলাম ওরফে লিমন নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ। তার কাছ থেকে ১৪টি মোবাইল ফোন, উত্তরণ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানির ৮৮টি আবেদন ফরম, ১৫টি সিল, বিভিন্ন ব্যাংকের ২৩টি চেক বইয়ের পাতা ও প্রতারণার নগদ ৯ লাখ ৪২ হাজার টাকা উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) শামসুল আরেফীন জাগো নিউজকে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, একটি প্রতারক চক্র প্রতারণার উদ্দেশ্যে উত্তরণ ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি নামের একটি ভুয়া কোম্পানি খুলে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় ২/৩ মাসের জন্য অফিস ভাড়া নেয় এবং পত্রিকায় কর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেয়। নিয়োগ দেওয়ার পর গ্রাহক সংগ্রহ করার জন্য সেই কর্মীদের তাদের নিজ বাড়ি বা এলাকায় পাঠায়।
চক্রটি প্রতারণার উদ্দেশ্যে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে প্রতারণার মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নামে ১০ শতাংশ হারে সিকিউরিটি হিসেবে গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়োগ দেওয়া কর্মীদের মাধ্যমে অর্থ আদায় করতো। পরে গ্রাহককে ঋণের সমপরিমাণ অর্থে ব্যাংক চেক দিতো। ঋণগ্রহীতারা ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে গেলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ‘আ্যকাউন্টে টাকা নেই’ বলে তাদের জানাতো।
ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, এভাবে এ প্রতারক চক্রটি গ্রাহকদের টাকা হাতিয়ে নিয়ে একপর্যায়ে অফিস বন্ধ করে দিতো। বিচ্ছিন্ন করতো মোবাইল সংযোগও। এ বিষয়ে কোম্পানিটিতে নিয়োগ পাওয়া একজন কর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিমানবন্দর থানায় ৩ মার্চ একটি মামলা রুজু হয়। মামলাটি তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
এডিসি শামসুল আরেফীন আরও বলেন, মামলা তদন্তকালে গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেফতার ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করা হয়। এরপর রাজধানীর বিমানবন্দর থানা ও তুরাগ থানা এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে শহিদুলকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের লালবাগ জোনাল টিম।
গ্রেফতার শহিদুলসহ অন্যান্য সহযোগীরা প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। এ চক্রের অন্য সহযোগীদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান গোয়েন্দার এ কর্মকর্তা।