বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে এবং গ্রিন ও ক্লিন এনার্জির দক্ষতা বাড়াতে হবে। এজন্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও আবিষ্কারে তরুণদের নেতৃত্ব দিতে হবে।
শনিবার (৫ মার্চ) বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টার (বিওয়াইএলসি) আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার অপরচুনিটিস ইন আর্থ ফ্রেন্ডলি জবস’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কী ধরনের প্রযুক্তি প্রয়োজন ও কেমন প্রযুক্তি টেকসই হবে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত হয়েছে বছর ভিত্তিক পরিকল্পনা। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ-২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সৌর বিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে দুই কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে জানিয়ে নসরুল হামিদ বলেন, দেশের অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌর বিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগায় উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। যদিও আমরা ছাদে সৌর ও ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগোচ্ছি। ছাদ সৌর বিদ্যুৎ জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং নয়টি সাইটে করা হয়েছে। খুব শিগগিরই অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভাগ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের উৎপাদনের মিশ্রণের ৪০ শতাংশ করতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।
তরুণদের নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের সব পরিকল্পগুলো আরও বেশি টেকসই হবে যখন আমাদের তরুণরা এ খাতে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে। সামনের দিনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক তরুণের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
বাংলাদেশ ইয়ুথ লিডারশীপ সেন্টারের প্রেসিডেন্ট এজাজ আহমেদের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন- বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এস্ট্রুপ পিটারসেন, এসবিকে ভেঞ্চার ক্যাপিটালেরর প্রতিষ্ঠাতা সোনিয়া বশির কবির ও সোলস শেয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেবাস্টিয়ান গোর।