আগামী তিন থেকে চার বছরের মধ্যে পাট এবং পেঁয়াজ বীজের জন্য ভারতের ওপর নির্ভরতা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
আর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী পাটের সোনালি দিন ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন, পাট ও পাট পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
সোনালি আঁশ পাট। এক সময় হারিয়ে যেতে বসলেও পরিবেশ বান্ধব বলে এর তৈরি পণ্যের ব্যবহার আবার বাড়ছে বিশ্বব্যাপী।
দেশেও পাটের ব্যবহার বাড়াতে কিছু পণ্যে পাটের মোড়ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে দেশে এখনো পাট বীজের জন্য নির্ভরশীল ভারতের উপর।
রোববার (৬ মার্চ) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় পাট দিবসের আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী বলেন, পাট বাঙালির ইতিহাসের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িয়ে আছে যা জাতিসত্ত্বার পরিচয়বাহী সংস্কৃতির অন্যতম উপকরণ। শুধু তাই নয়, বাঙালির অর্থনৈতিক মুক্তির হাতিয়ার হিসেবে পাটের ভূমিকা একটি স্বীকৃত ইতিহাস।
তিনি বলেন, পাটখাতে সরকারের নানামুখী কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে জাতীয় অর্থনীতিতে এ খাতটি অসামান্য অবদান রাখছে। যদিও কালের পরিক্রমায় কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান টেকসই উন্নয়নের যুগে বিশ্বব্যাপী পরিবেশ বান্ধব পাট ও পাট পণ্যের ব্যাপক চাহিদা তৈরি হয়েছে।
মন্ত্রী জানান, সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতও পাটকে টিকিয়ে রেখেছে, পোশাকের মতো এই খাতেও নারীরা জড়িত বেশী। তাই অর্থকরী ফসল পাটকে আরো সহজলভ্য করতে উন্নত জাতের ভালো বীজ দেশেই উদ্ভাবন করতে হবে।
জবাবে, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটবীজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। তিন বছর পর ভারত থেকে পাটবীজ আর আমদানি করতে হবে না।
তিনি বলেন, পাট গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পাটের উন্নত জাত উদ্ভাবন করেছে, যা ভারতের জাতের চেয়ে অনেক ভালো। কৃষকদের মাঝে এটির চাষ জনপ্রিয় করতে কাজ চলছে।
কৃষিমন্ত্রী জানান, বিশ্বে পাটের চাহিদা বেশি তাই দামও বাড়ছে। যোগান ঠিক রেখে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানিতে অন্যান্য কৃষি পণ্যে মতো পাটও যেন ২০ শতাংশ প্রণোদনা পায় সেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রাজনৈতিকভাবে বাংলাদেশি পাট পণ্যের উপর এন্টি ডাম্বিং আরোপ করে রপ্তানিতে বাঁধা নিতে ভারতকে আহ্বান জানান কৃষিমন্ত্রী।