আজ রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে নামবে পারি সা জার্মেই। রাত ২টায় সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে শুরু হবে ম্যাচ। এ ম্যাচ ঘিরে আপ্লুত মেসি নেইমার। তবে ইনজুরির কারণে থাকছেন না সার্জিও রামোস।
বার্সেলোনা ছাড়ার পর আবার স্পেন ঘুরে গেছেন লিওনেল মেসি। কিন্তু এবার ভিন্ন মিশনে মাদ্রিদে এলএমথার্টি। বার্সায় যে ক্লাব ছিল তার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি সেই রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার মিশন। তবে গায়ে থাকবে পারি সা জার্মেই জার্সি।
আগেও ৪৬ বার মাঠে নেমেছেন মাদ্রিদের বিপক্ষে। ২৬ গোলের সঙ্গে করেছেন ১৪ অ্যাসিস্টও। তবুও এই ম্যাচটা মেসির জন্য আলাদা নিশ্চয়ই মাদ্রিদের জন্যও। মৌসুম ভালো না যাওয়া মেসিও যে আলোতেই থাকবেন সেটাও বলার অপেক্ষা রাখে না। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মেসি সর্বশেষ গোল পেয়েছিলেন ৬৯৫ মিনিট আগে। ২০১৮ সালের মে মাসে বার্সেলোনার হয়ে সর্বশেষ গোলটি করেছিলেন তিনি। প্রথম লেগে মিস করেছেন পেনাল্টি সেটা ছিল চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার পঞ্চম ব্যর্থ স্পট কিক।
হোক প্রতিপক্ষের ভেন্যু মেসির মতো নেইমারও আপ্লুত আবার সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ম্যাচ খেলার অপেক্ষায়। তবে রিয়াল-পিএসজি ম্যাচে যার ওপর থাকত স্পটলাইট সেই সার্জিও রামোস এখনও ইনজুরি থেকে সেরে ওঠেননি। শঙ্কা আছে প্রথম লেগে একমাত্র গোল করা কিলিয়ান এমবাপ্পেকে নিয়েও। ফরাসি তারকাকে পেলে পূর্ণশক্তির আক্রমণভাগ পচেত্তিনোর।
পিএসজি ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়র বলেন, মেসি এবং আমি দু’জনই বারবার পুরনো দিনের স্মৃতিতে ফিরে যাচ্ছি। মনে পড়ছে বার্নাব্যুতে আমার গোল, অ্যাসিস্টের কথা। রিয়ালের বিপক্ষে প্রথম লেগে আমরা এগিয়ে আছি ঠিকই কিন্তু ব্যবধানটা কম। ভালো একটি ম্যাচ হবে।
এছাড়াও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের শেষ চার অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পায়নি পিএসজি। দুই ম্যাচে ড্র ও বাকি দুই ম্যাচ হেরেছে তারা। এদিকে ২০১৩ সালে অভিষেকের পর থেকে টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট করা ফুটবলার নেইমার। তিনি ২৭টি অ্যাসিস্ট করেছেন। এর ছয়টিই এমবাপেকে। কোনো একজন সতীর্থকে করা এটাই সবচেয়ে বেশি অ্যাসিস্ট।
নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্যাসিমিরোকে পাচ্ছে না রিয়াল। ইনজুরির কারণে টনি ক্রুসকে পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় কার্লো আনচেলত্তি। তবু হোম ম্যাচে সেরা পারফরম্যান্স চান শিষ্যদের কাছে।
রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, প্রথম লেগে যেভাবে খেলতে চেয়েছি সেভাবে হয়নি। প্যারিসে আমরা পিএসজির সেরা পারফরম্যান্স দেখেছি, এবার মাদ্রিদে রিয়ালের সেরা পারফরম্যান্স দেখানোর পালা।
প্রথম লেগে হেরে গেছে এমন নক আউট ম্যাচে শেষ ১০ বারের ৯ বারই পরের পর্বে যেতে ব্যর্থ হয়েছে গ্যালাক্টিকোরা। একমাত্র ব্যতিক্রম ছিল ২০১৫-১৬ মৌসুমে ভিএফএল উল্ফসবার্গের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনাল। ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের শেষ ১১ ম্যাচে ১২ গোল করেছেন বেনজেমা। সব মিলিয়ে এই টুর্নামেন্টে তার গোলের সংখ্যা ৬৪টি। লস ব্লাঙ্কোসদের হয়ে তার চেয়ে বেশি গোল করেছেন কেবল রোনালদো (১০৫) ও রাউল (৬৬)।