দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ২২ কোটি ডোজ দেয়া হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, টিকাদানে ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও কলেজে নার্সিং পরীক্ষার কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে করোনা নিয়ন্ত্রণে আছে; এটা আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাই। টিকাদান কর্মসূচি ভালোভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছি। ইতোমধ্যে ২২ কোটি ডোজ টিকা দেয়া হয়েছে। সাড়ে ১২ কোটি প্রথম ডোজ; সাড়ে ৮ কোটি দ্বিতীয় ডোজ।
তিনি বলেন, বিশেষ ক্যাম্পেইনে এক দিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে টিকাদানে ২০০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম স্থানে পৌঁছেছে।
মন্ত্রী বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের মতো বুস্টারে জোর দেয়া হবে বিশেষ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে। কয়েক দিনের মধ্যে কর্মসূচি শুরু হবে। সরকারের টিকা কিনতে ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। দেশে টিকার কোনো অভাব নেই।
স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর গুরুত্ব দিয়ে মন্ত্রী বলেন, পরিস্থিতি এখন অনেকটা স্বস্তিদায়ক অবস্থায়। গতকাল শনাক্তের হার ১ শতাংশে ছিল; মৃত্যুও ছিল ৩ জনে। করোনাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামাতে চাই। এই জন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে; সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেয়া শুরু হয়। দুই মাস পর ৮ এপ্রিল শুরু হয় দ্বিতীয় ডোজের কার্যক্রম। গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় ডোজ বা বুস্টার ডোজের কার্যক্রম শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে এক দিনে ৭৬ লাখের বেশি টিকা দেয়া হয়েছিল। পরে বিশেষ গণটিকাদান চলে। শুধু ২৬ ফেব্রুয়ারিই দেশে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হয়।