আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ করতে সংলাপের আয়োজন করেছে নির্বাচন কমিশন। আজ ধারাবাহিক এ সংলাপ শুরু হচ্ছে। আজ প্রথম দিনের সংলাপে আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের ৩০ জন শিক্ষাবিদ। বিকাল ৩টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ সংলাপ হবে। এরপরে ২২ মার্চ দ্বিতীয় দফার সংলাপে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিকরা। প্রথম দিনের সংলাপে আমন্ত্রণ প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন- কয়েকটি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিক্ষাবিদ, নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপ শেষ করেই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সাথে সংলাপের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরপরে নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ সংস্থাসহ অন্যান্যদের সঙ্গে সংলাপ করবে ইসি। তবে সবার শেষে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সংলাপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। এ বিষয়ে ইসির যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান বলেন, আজ রবিবার প্রথম সংলাপে ৩০ জন শিক্ষাবিদকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিকাল ৩টায় এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরে ২২ মার্চ নাগরিক সমাজের সঙ্গে সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হচ্ছে প্রতি সপ্তাহে সংলাপ অনুষ্ঠানের। সংলাপের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে সংলাপ শেষ করে, তাদের পরামর্শের আলোকেই দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য দেড় বছর হাতে রেখে আগামী জুন-জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার চিন্তা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু-শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশনের কী কী করণীয় এবং কীভাবে তা বাস্তবায়ন করা যায়, সেই পথ নির্দেশনাও চাওয়া হবে সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিশিষ্টজনদের কাছে। ইসির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে। এক্ষেত্রে চলতি বছরের জুন-জুলাইয়ে রোডম্যাপ ঘোষণা হলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ইসির হাতে প্রায় দেড় বছর সময় থাকবে।