‘সর্বাত্মক হামলা’ তৃতীয় সপ্তাহে গড়ানোর পর ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের মাত্রা আরও তীব্রতর হতে দেখা যাচ্ছে। শনিবার একাধিক শহরে রুশ বাহিনী তাদের ধ্বংস অভিযান জোরদার করেছে।
একই দিন মস্কোর হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে যুক্তরাষ্ট্রও ইউক্রেনকে সহায়তায় দেশটিতে আরও ২০ কোটি ডলারের অস্ত্র পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে।
শনিবার কিইভের উপকণ্ঠে একাধিক সড়কে যুদ্ধ চলেছে, বিধ্বস্ত এক সেতুর আশপাশে দেখা মিলেছে ক্রন্দনরত অনেক বাসিন্দার, সহিংসতা থেকে বাঁচতে যাদের জরুরি মালপত্র নিয়ে ছাড়তে হচ্ছে রাজধানী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয়দের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চেষ্টায় দেশজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ এনেছেন।
রুশ হামলা শুরুর পর এখন পর্যন্ত ইউক্রেইনের ১ হাজার ৩০০ মতো সেনা নিহত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। এবারই প্রথম ইউক্রেইনের সরকার তাদের নিজেদের নিহত সেনার সংখ্যা প্রকাশ করল।
পশ্চিমারা ইউক্রেইনকে যে অস্ত্রশস্ত্র পাঠাচ্ছে, সেগুলোর বহর রুশ বাহিনীর হামলার ‘বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে’ পরিণত হতে পারে রাশিয়া সতর্ক করার কয়েক ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেইনের সেনাবাহিনীকে আরও অস্ত্র দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে; এসবের মধ্যে যুদ্ধবিমান ও ট্যাংকবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্রও আছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
রুশ অভিযান, সহিংসতা ও বিভিন্ন শহরে টানা গোলাবর্ষণের কারণে এরই মধ্যে ২৫ লাখের বেশি বেসামরিককে ইউক্রেন ছাড়তে হয়েছে।
গোলাবর্ষণ সত্ত্বেও শহর ছাড়তে না পারা মারিউপোলের বাসিন্দারাই সবচেয়ে বেশি ভুগছেন ও ‘পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে মানবিক বিপর্যয়ের’ সাক্ষী হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা।
শহরটিতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১ হাজার ৫৮২ বেসামরিকের মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন সেখানকার বাসিন্দারা কোনোরকমে বেঁচে থাকতেও হিমশিম খাচ্ছেন, মৃতদের গণকবরে সমাহিতে বাধ্য হচ্ছেন।