তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটই কারসাজি করে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে অপচেষ্টা করছে। তারা খাদ্যপণ্য অবৈধভাবে মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চেষ্টা করছে। মজুতদারদের কেউ যদি দলের নেতাও হয়, তাদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। দলের নাম বিক্রি করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আজ রবিবার (১৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে করা এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব দেশের দ্রব্যমূল্যের ওপর তেমন পড়েনি। যুদ্ধের আগেই দেশের চাহিদামতো দ্রব্য মজুত করা হয়েছে। কিন্তু রমজান মাস সামনে রেখে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের দোহাই দিয়ে অসাধু চক্র দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দিতে চাইবে। তারা কৃত্রিম সংকটও সৃষ্টি করতে চাইবে। কিন্তু কোনোভাবেই তা হতে দেওয়া যাবে না। তার জন্য প্রশাসনেরর কর্মকর্তা ও দলীয় নেতাদের সার্বক্ষণিক বাজার মনিটরিং করতে হবে।
মতবিনিয় সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোটেক সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামাননসহ অন্যরা।
রামুতে বঙ্গবন্ধু উৎসবে যোগ দিতে শনিবার কক্সবাজার আসেন ড. হাসান মাহমুদ। রবিবার মতবিনিয় সভা শেষে সাড়ে ১২টায় বিমানে করে ঢাকার উদ্দেশে কক্সবাজার ত্যাগ করেন তিনি।