অনেক জল্পনা-কল্পনা ও নাটকের মঞ্চায়ন শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সোমবার (১৪ মার্চ) সেখানে পৌঁছে নিজেকে প্যাসেঞ্জার থেকে ড্রাইভিং সিটে উত্তরণ করতে নেমেছেন অনুশীলনে।
হাতে খুব বেশি একটা সময় নেই। আগামী ১৮ মার্চ থেকে শুরু বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এমনিতেই খেলবেন কি খেলবেন না সে দ্বিধায় দলের সঙ্গে যোগ দিতে দেরি করে ফেলেছেন সাকিব। তবে যখন খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তখন আর অপেক্ষা কেন? তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় নেমে দলের সঙ্গে টাইগার অলরাউন্ডার যোগ দিয়েছেন অনুশীলনে।
এর আগে দেশ ছাড়ার সময় সাকিব জানান, দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জেতার আশা তার। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘প্রত্যাশা তো থাকবেই আমরা সিরিজ জিতব। কিন্তু একটা ম্যাচও যদি জিততে পারি তাহলে আমার মনে হয় একটা অ্যাচিভমেন্ট হবে। আমার ধারণা পুরো দলেরই একই রকম টার্গেট থাকবে এবং সেভাবে আমরা প্রস্তুতি নেব।’
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে সাকিবকে জিজ্ঞাসা করা হয় কতটা স্বস্তি নিয়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাচ্ছেন। জবাবে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার বলন, ‘অনেকটাই স্বস্তি নিয়ে যাচ্ছি। দলের সঙ্গে থাকাটা তো সব সময় ভালো ব্যাপার, মজার ব্যাপার। যেটা লাস্ট পনেরো বছর ধরে আছি। সামনেও হয়তো থাকতে পারলে ভালো লাগবে। বাট দলের সাথে থাকাটাই একটা আনন্দদায়ক ব্যাপার। আশা করি সবাই মিলে একটা ভালো রেজাল্ট আনতে পারব।’
এর আগে সাকিবকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ক্যারিয়ারের পরের পরিকল্পনা নিয়ে ১২ মার্চ বিসিবির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, বোর্ড যেভাবে বলবে এখন থেকে সেভাবেই চলবেন তিনি। বিশ্রামও ভেঙে বাংলাদেশের হয়ে খেলার কথা জানান তিনি।
বিশ্রাম ভাঙা সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা পুরো বছরের প্ল্যানটা করতে পেরেছি। যেহেতু আমি তিনটা ফরম্যাটেই আছি (চুক্তিতে), তিনটা ফরম্যাটেই অ্যাভেইলেবল থাকব। বোর্ড ডিসাইড করবে আমার কখন খেলা দরকার আর কখন বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সেটা এ দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকেই। এই সিরিজেও আমি থাকব।’
এদিকে টাইগাররা নিজেদের মধ্যে দুই দলে বিভক্ত হয়ে ওয়ানডে সিরিজের আগে একটি এক দিনের এবং টেস্ট সিরিজের আগে দুদিনের একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন। ১৪ মার্চ প্রথম দিনের অনুশীলনের পর ওয়ানডে দলের পুরো স্কোয়াড প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে ১৫ মার্চ। জোহানেসবার্গে এই ম্যাচের পরদিন বিশ্রামে থাকবেন ক্রিকেটাররা, তবে চালিয়ে যেতে পারবেন ঐচ্ছিক অনুশীলন। ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে ১৮ মার্চ আবারও দলীয় অনুশীলন হবে।