করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে এখন পর্যন্ত টিকার বুস্টার (তৃতীয়) ডোজ পেয়েছেন ৫৭ লাখ ১০ হাজার ২০৭ জন। এ ছাড়া ৯ কোটি ২০ লাখ ১১ হাজার ৭৮১ জন পেয়েছেন দুই ডোজ। একই সময়ে প্রথম ডোজের মাধ্যমে টিকার আওতায় এসেছেন মোট ১২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭ হাজার ২৩৭ জন মানুষ।
স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে পাঠানো করোনার টিকাদান বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে স্বাক্ষর করেছেন অধিদফতরের মেনেজমেন্ট ইনফরমেশন শাখার (এমআইএস) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সারা দেশে ৩৮ হাজার ৫৮৯ জনকে প্রথম ডোজের টিকা দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার ৮৯৮ জনকে এবং বুস্টার ডোজ পেয়েছেন ১ লাখ ৮২ হাজার ৬৯২ জন।
তাদের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, ফাইজার, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে।
গত ১ নভেম্বর থেকে দেশে ১২-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। অধিদফতর জানিয়েছে, দেশে এখন পর্যন্ত ১ কোটি ৭১ লাখ ৬৪ হাজার ৭১৩ জন শিক্ষার্থী করোনা টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছেন। আর দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছেন ১ কোটি ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫৫ জন। এদিকে, গত একদিনে ৮ হাজার ৮১৮ জন শিক্ষার্থী প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন। আর ৩২ হাজার ৫২৮ জন পেয়েছেন টিকার দ্বিতীয় ডোজ।
এদিকে দেশে এই পর্যন্ত ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫৫ জন ভাসমান মানুষ টিকার আওতায় এসেছেন। তাদের জনসন অ্যান্ড জনসনের সিঙ্গেল ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা টিকার নিবন্ধন শুরু হয় গত ২৭ জানুয়ারি। ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ১৮ বছর বয়সী যেকোনো মানুষ এখন টিকা নিতে পারছেন।