২০ মার্চ থেকে এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি দামে সয়াবিন তেল, চিনি এবং মশুরের ডাল বিক্রি করবে টিসিবি। এরই মধ্যে সারাদেশে প্রায় ৮৭ লাখ পরিবারের কাছে কার্ড পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বাছাইকৃত গরিব মানুষেরাই এই পণ্য পাবে।
কিছু দিন ধরেই অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার। এতে বিপাকে পড়ে নিম্ন আয়ের মানুষ। বাজার নিয়ন্ত্রণে টিসিবি ভূমিকা রাখলেও আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধিসহ পণ্যেও পরিমাণ ছিলো কম।
এসব বিষয় বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় রমজানকে সামনে রেখে বোববার থেকে সারা দেশে একসাথে ১ কোটি মানুষকে ভর্তূকি দামে বিশেষ কার্ডের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করবে টিসিবি।
দারিদ্র্যের সূচক বিবেচনায় এরই মধ্যে, বাছাইকৃতদের ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, যেই প্রক্রিয়ায় আগে ৩০ লাখ পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হয়েছিলো, তারা সহ আরও নতুন ৫৭ লাখ পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড প্রদান করা হবে।
টিসিবি ভবন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, একাধিক মন্ত্রণালয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রন করায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
প্রকৃত দরিদ্র জনগোষ্ঠি যাতে এই পণ্য পায় সে জন্য জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন সংস্থা কাজ করছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
অন্যান্য স্থানে ফ্যামিলি কার্ড দেয়া হলেও রাজধানীতে ১২ লাখ মানুষের কাছে কার্ড ছাড়াই পণ্য বিক্রি করা হবে। আর বরিশাল সিটিতে এই সুবিধা পাবেন ৯০ হাজার মানুষ।
টিসিবির এই কর্মসূচিতে সয়াবিন তেল ১১০ টাকা, চিনি ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করা হবে। আর ৮০ টাকা দরে ঢাকায় ১ কেজি খেজুর দেয়া হবে। প্রতি কার্ডের বিপরীতে পাওয়া যাবে দুই লিটার সয়াবিন, দুই কেজি করে চিনি ও ডাল।
দ্বিতীয় দফায় ৩ এপ্রিল থেকে এসব পণ্যের সাথে ৫০ টাকা দরে ২ কেজি ছোলা দেয়া হবে।